প্রস্তুতি: রাসচক্র তৈরির কাজ চলছে কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের রাস উৎসবের বাজেট বাড়াল কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।
বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারে বাজেট ধরা হয়েছে ১২ লক্ষাধিক টাকা। গত বছর রাস উৎসবের বাজেট ছিল ছিল ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এ বার ওই অঙ্ক বেড়ে হয়েছে ১২ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী-সহ বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজেটে টাকার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। বোর্ডের সভাপতি, কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “রাস উৎসবের সঙ্গে বাসিন্দাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। রীতি মেনেই উৎসবের আয়োজন হচ্ছে। কোনও রকম খামতি যাতে না থাকে তাও দেখা হচ্ছে।”
দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ফি বছর মদনমোহন মন্দির চত্বরে বিশেষ পুজোর পর রাসচক্র ঘুরিয়ে ওই উৎসবের সূচনা হয়। এ বারেও ৩ নভেম্বর রাত ১০টায় বোর্ডের সভাপতি তথা জেলাশাসক উৎসবের সূচনা করবেন। উৎসবের দিনই শুরু হবে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলাও। সব মিলিয়েই মন্দির চত্বরকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। মন্দির রং, সংস্কার, পুতুলঘর সংস্কার-সহ একাধিক কাজের পরিকল্পনা হয়েছে। মন্দির চত্বরে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গেই যাত্রা মঞ্চস্থ হবে। সে সব কাজের প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলার সঙ্গে বাইরের যাত্রাদলও থাকবে। মন্দির চত্বরে ছোটদের অন্যতম আকর্ষণ বিশালাকার পুতনা রাক্ষসীর মূর্তি এ বারেও নজর কাড়বে। এ ছাড়াও আলোকসজ্জা, পুজো-সহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ রয়েছে। সব মিলিয়েই বাজেট তৈরি করা হয়েছে।
দেবোত্তর সূত্রের খবর, এ বার মুর্শিদাবাদ, কলকাতার কীর্তন দল উৎসবে যোগ দেবে। কলকাতার তিনটি যাত্রা দলের অনুষ্ঠানও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও বর্ধমানের একটি দল ‘শ্রীকৃষ্ণের লীলা’ নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করবে। থাকছে উত্তরের প্রাণের গান ভাওয়াইয়া শিল্পীদের অনুষ্ঠানও। দেবোত্তরের এক কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাস উৎসব ও মেলা উপলক্ষে ভক্তদের ভিড়ও বেড়ে যায়। সেকথা মাথায় রেখে মেলার দিনগুলিতে দৈনিক অতিরিক্ত ১০ কেজি চাল, ডালের ভোগের ব্যবস্থা হবে।