মালদহ স্টেশনে ট্রেন থেকে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র।
ফের ট্রেনে করে কচ্ছপ এনে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল রেল পুলিশ। আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস ট্রেনের সংরক্ষিত কামরা থেকে উদ্ধার করা হল কচ্ছপগুলিকে। রবিবার রাতে এ ঘটনা মালদহ টাউন স্টেশনের। সংরক্ষিত কামরায় তল্লাশি চালিয়ে আরপিএফ চারটি স্কুল ব্যাগ থেকে ৯৯টি কচ্ছপ উদ্ধার করে। ওই কারবারে জড়িত সন্দেহে এক যুবককেও গ্রেফতার করে আরপিএফ।
আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম শুভম। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর জেলার দেহাত কোতোয়ালি এলাকায়। সোমবার সকালে ধৃত ও উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলিকে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের হাতে। বন দফতর ওই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ধৃতকে এ দিন মালদহের সিজেএম আদালতে তোলা হলে, তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বন দফতর সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ওই কচ্ছপগুলিকে গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কিছুদিন আগেই বেশ কয়েকটি কচ্ছপ-সহ দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল আরপিএফ। সে ক্ষেত্রেও ট্রেনে করে ওই কচ্ছপগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল। আরপিএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার কচ্ছপগুলির ওজন পাঁচশো গ্রাম থেকে দেড় কেজির মধ্যে।
বন দফতরের মালদহ রেঞ্জের অফিসার সুজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কচ্ছপ পাচারের চেষ্টার কারবারে ধৃতের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে।"
‘নিম্ন মানের’ কাজ, বিক্ষোভ
হলদিবাড়ি: পথশ্রী রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তর বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়ামারী এলাকার ঘটনা। গত মার্চে মাসে ওই এলাকায় কালভার্ট-সহ ২৭৫ মিটার রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়।
এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয় ৬২ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। এই নিয়ে সোমবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কাজের মান খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান হলদিবাড়ির বিডিও। ঠিকাদার সংস্থার দাবি, বিক্ষোভকারী যুবকরা টাকা চেয়েছিলেন। না দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
নিজস্ব সংবাদদাতা