ধৃত: আদালতের পথে পাঁচ অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র
গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত পাঁচ জনকে শনাক্ত করল নাবালিকা ও তার কিশোর প্রেমিক৷ তার পরই পাঁচ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুলিশ৷ তবে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের পরও মূল অভিযুক্তের একজন কেন এখনও অধরা, সেই প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
গত সোমবার ভোলারডাবরিতে ষোলো বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে কয়েক জন যুবক। সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। অন্য জন এখনও অধরা। শুক্রবারই ধৃত পাঁচ জনের টিআই প্যারেড হয়। সেখানে নাবালিকা ও তার প্রেমিক পাঁচ জনকে শনাক্ত করে বলে জানান আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী জহর মজুমদার।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে তোড়জোড় শুরু হয়৷ শনিবার তাদের আদলতে তোলা হয়৷ সরকার পক্ষের আইনজীবী সুদীপ ভৌমিক জানান, পুলিশের তরফে ছ’দিনের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল৷ আদালত পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে৷ আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের দিয়ে গোটা ঘটনাটি পুনর্গঠন করা হবে৷ পাশাপাশি ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনায় কার কতটা যোগ, তা-ও দেখা হবে।
এই ঘটনায় তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে পুলিশ। তার পরও কেন অন্যতম মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন নাবালিকা ও তার প্রেমিকের পরিবার৷ নাবালিকা এখনও হোমে। তার প্রেমিকের মা এ দিন বলেন, ‘‘নিরাপত্তার স্বার্থে আমার ছেলেকেও হোমে পাঠান হোক৷ কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই খুবই আতঙ্কে আছি। ভাবছি ছেলেকে জেলার বাইরে কোন আত্মীয়র বাড়িতে পাঠিয়ে দেব৷ পুলিশ সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, নাবালিকা ও তার প্রেমিকের পরিবারের নিরাপত্তার দিকটিও দেখছেন তাঁরা।