বিমল গুরুং। ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙের পর এ বার কালিম্পং৷ বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে বুধবার সকালে কালিম্পং শহরে বিরাট মিছিল করলেন বিনয় তামাং, অনীত থাপার সমর্থক মোর্চা কর্মীরা।
এ দিনের মিছিল থেকে পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ফের আওয়াজ তোলা হয়েছে। মিছিলে যোগদানকারীদের দাবি, বিমল পাহাড়ে ফিরে এলে নতুন করে অশান্তির কালো মেঘ জমবে। ২০১৭ সালের আন্দোলনে প্রাণ, সম্পত্তির নষ্টের হিসেব চুকিয়ে তবেই বিমলকে পাহাড়ে আসতে হবে— উঠেছে এমন আওয়াজও। সকালে কালিম্পং মেলা গ্রাউন্ড থেকে মিছিলটি বার হয়ে গোটা শহর ঘুরে ডম্বরচকে এসে শেষ হয়। সেখানে সভাও করেন মোর্চা কর্মীরা।
এ দিন মিছিলের পর যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সচিব ইমন চামলিং বলেন, ‘‘পাহাড় এখন শান্ত রয়েছে। শান্ত থাকুক, এটাই পাহাড়বাসীরা চান। কিন্তু বিমল গুরুংয়ের লোকজন তা চান না বলেই মনে হচ্ছে। আবার অশান্তির মেঘ পাহাড়ে জমছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে এ বার একজোট হয়ে সরব হতে হবে।’’
তিন বছর আত্মগোপন করে থাকার পরে ২১ অক্টোবর, পঞ্চমীর দিন কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করেন বিমল গুরুং। ঘোষণা করেন তৃণমূলকে সমর্থনের কথাও। ফলে রাতরাতি পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন রং লেগে যায়। পরদিন থেকেই পাহাড়ে বিমলের সমর্থনে তাঁর সমর্থকেরা সরব হতে থাকেন। বহু এলাকায় পোস্টার দিয়ে বিমলকে পাহাড়ে স্বাগত জানানোর কথা বলা হয়। তার পরেই আসরে নামেন বিনয়, অনীতের সমর্থকেরা। দার্জিলিং চকবাজার বিমলের পতাকা আবার সরিয়ে দেওয়া হয়। ২৫ তারিখ, নবমীর দিন প্রথম বিমল-বিরোধী মিছিল হয় দার্জিলিংয়ে। এবার একই মিছিল হল কালিম্পংয়ে। সেখানে বিমলের এক সময়কার সহযোগী, বর্তমানে অনীত, বিনয়ের গোষ্ঠীতে থাকা সিবি গুরুং, রুদেন লেপচা, কল্পনা তামাং, সঞ্চবীর সুব্বার মতো প্রথম সারির নেতানেত্রীদের মিছিলে পা মিলিয়ে বিমলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়।
মোর্চা কর্মীরা এ দিন জানান, তিন বছর আগে বিনয় তামাং, অনীত থাপা যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা প্রমাণিত। পাহাড়ের শান্তি, বিকাশ, উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা ওই কাজ করেছিলেন। বিমল সেই সময় এদের বিশ্বাসঘাতক বলে নানা প্রচার করেন। এখন বাড়ি ফেরার জন্য উল্টো কথা বলে তৃণমূলের পাশে এসেছেন। বিমলপন্থীরা অবশ্য মিছিলটি নিয়ে এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, সময় বদল হচ্ছে। আর ক’দিন পর সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।