উত্তরবঙ্গ লাগোয়া বাংলাদেশের উপর থাকা ঘুর্ণাবর্ত সরল না বুধবারও। তার জেরে আগামী ৫ দিন ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট চলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যে আগামী ১৩ এবং ১৪ এপ্রিল ঝড়বৃষ্টির মাত্রা বেশি হতে পারে। ফলে চিন্তার মেঘ সরছে না প্রার্থীর প্রচার এবং ভোটের প্রস্তুতির উপর থেকে।
ভোটের প্রচারের সময় উত্তরবঙ্গে টানা এই পরিস্থিতি চলছে গত দু’সপ্তাহ ধরে। রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রে ভোটের প্রচারে এখন বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়ার খবর নেওয়া।
সিকিমে আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ঘুর্ণাবর্তটি ক্রমাগত জোলো হাওয়া টানছে বঙ্গোপসাগর থেকে অবস্থান পাল্টে আরও পূর্বের দিকে সরে গেলে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতে পারে।’’ গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া ঝাড়ঘণ্ডে তৈরি হয়েছিল ঘুর্ণাবর্তটি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সেটি একটু করে পূর্বের দিকে সরছে গত সপ্তাহ থেকেই। তার জেরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি চলছেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বুধবারের উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা যে পাঁচ দিনের পূর্বাভাস দিয়েছেন, তাতে ১১ এপ্রিলের ভোট এবং ২৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য প্রচার দু’টিতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারে। গত সপ্তাহে শিলিগুড়িতে ঝড়বৃষ্টির জন্য বেশ কিছু সভা, নির্বাচন কার্যালয় উদ্বোধন মার খেয়েছে। প্রার্থীদের প্রচারসভা থাকলে দলের নেতা কর্মকর্তাদের আগে থেকে দেখে নিতে হচ্ছে, সেখানে সভার সময় ঝড়বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস রয়েছ কি না। তবে বুধবারের প্রচার দার্জিলিং কেন্দ্রে কোনও দলেরই মার খায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরের পরই শিলিগুড়ির আকাশ জুড়ে ঘনবর্ষার মেঘ ছেয়ে গিয়েছিল। এ দিকে দুপুরেই আইএনটিটিইউসি ভবনে কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকারের বৈঠক ছিল আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে।
শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘এ বার ভোটের সময় আবহাওয়াটা একটু বেশিদিন ধরেই খারাপ।’’ জেলা তৃণমূল কোর কমিটির নেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘আমাদের জনসংযোগ সারা বছর। যে ভোটবাবুরা মরশুমে এসে সব এলাকায় হঠাৎ ছুটতে শুরু করেছেন, তাঁদের ঝড়বৃষ্টি হলে সমস্যা হতে পারে। আমাদের হয় না।’’