— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শহরে শিশুমৃত্যুর চারদিন পরেও ঘটনাটিকে ডেঙ্গিতে মৃত্যু বলতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। তাদের চার জনের তদন্ত কমিটি এখনও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। এ দিকে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যু নয় বলে লেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তা নিয়ে হইচই পড়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ সব নিয়ে কিছু বলতে চাননি। মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘এখনও এ নিয়ে কোনও রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতর দেয়নি। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।’’ তবে বিধায়কের অভিযোগ নিয়ে মেয়র কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ও সব কথার কোনও উত্তর দেব না।’’
রবিবার সকালে হিলকার্ট রোডের নার্সিংহোমে ৯ বছরের বালিকা জায়না খাতুন ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে মারা যায় বলে খবর। পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছে, বাইরে ডেঙ্গি পরীক্ষার পর সংক্রমণের বিষয়টি জেনে তাঁরা শনিবার নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়েছিলেন। মৃত্যু শংসাপত্রেও কারণ হিসেবে ডেঙ্গির সংক্রমণ অন্যতম বলে জানানো হয়েছে। তার পরেও স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। বিজেপির বিধায়ক বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা এলাকায় শিলিগুড়ি শহরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বালিকার মৃত্যু হয়। শুনেছি নার্সিংহোম থেকে ডেঙ্গি বলা সত্ত্বেও পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে চাপ সৃষ্টি করে সেই শব্দটিকে মুছতে বাধ্য করা হয় এবং দুর্ভাগ্য, যে এলাকায় আমার শহরের মেয়র দু’বারের মন্ত্রী। তিনি কি উদাসীন? ডেঙ্গিতে মৃত্যুর পর ওই এলাকা পরিষ্কার করা, স্বচ্ছতা, সচেতনতা প্রচার করা— কোনও কাজ পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা করেননি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এ ভাবে চাপা দেওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক। শহরবাসী এতে আতঙ্কিত।’’
বালিকার মৃত্যুর পর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক জানিয়েছিলেন, চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। তারা দু’একদিনেই রিপোর্ট দেবে। তবে এ দিনও রিপোর্ট না মেলায় প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘রিপোর্ট পেলে দ্রুত জানানো হবে।’’ পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন বলেন, ‘‘ডেঙ্গির বিষয়টি আড়াল করলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের রিপোর্ট দিতে কেন তিন দিন লাগবে?’’