গাফিলতি কি শুধু রেলের, নাকি বন দফতরেরও?
রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি স্টেশনের মাঝে, সোমবার সকালে মালগাড়ির ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যুর পরে এই প্রশ্ন উঠছে ডুয়ার্সে। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি স্টেশনের মধ্যে একটি মালগাড়ির ধাক্কায় এ দিন সকালে তিনটি হাতির মৃত্যু হয়। ডুয়ার্সের ওই রেলপথে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি বা অন্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যু নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত অগস্ট মাসেও নাগরাকাটা ও চালসার মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, রেল ও বন দফতরের মধ্যে সমন্বয় বৈঠক অনেক দিন ধরেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। লোকো-পাইলটদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির হালও একই। পরীক্ষামূলক ভাবে মাদারিহাট ও নাগরাকাটার মধ্যে ‘ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম’ চালু হলেও, ডুয়ার্সের জঙ্গলে বাকি রেলপথে কেন তা চালু করা হচ্ছে না, সে প্রশ্নও ওঠে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভিতরে থাকা রেলপথে এই ব্যবস্থা ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। রেল আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, রেল ও বন দফতরের মধ্যে ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’ চালু রয়েছে, যাতে রেল লাইনের ধারে কোনও হাতি বা বন্যপ্রাণীর দেখা মিললেই তাতে বার্তা দেওয়া যায়। অথচ, এ দিনের ঘটনার আগে বন দফতরের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। বন দফতরের কর্তারা পাল্টা জানিয়েছেন, জঙ্গলের ভিতর থেকে হঠাৎ হাতি বা অন্য বন্যপ্রাণী বেরিয়ে এলে, বনকর্মীদের পক্ষে তেমন বার্তা দেওয়া সম্ভব নয়। জঙ্গলের ভিতরে ট্রেন চালকদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।