সীমা চৌধুরী।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিকে ভেঙে পৃথক পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল। বানারহাটেও পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হবে ২৪ জুন। প্রশাসন সূত্রে এমনই খবর। বানারহাট ব্লকের এলাকা এত দিন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। ধূপগুড়ি ব্লককে ভেঙে বানারহাটকে পৃথক ব্লক করার পর এ বার পঞ্চায়েত সমিতিও আলাদা গঠন হতে চলছে।
দ্বিখণ্ডিত করে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২১ জন সদস্যকে নিয়ে নতুন পঞ্চায়েত সমিতির গঠনের নোটিস জারি করল প্রশাসন। এর মধ্যে শাসকদলের ১৬ জন ও বিজেপির ৫ জন সদস্য রয়েছেন। নতুন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
তৃণমূল বরাবর পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে আসছে। মূখ্যমন্ত্রী নিজে পুরনো লড়াকু নেতা-নেত্রীদের দলে জায়গা দেওয়ার পক্ষে রয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, এ দিক থেকে যোগ্যতা এবং বয়সের নিরিখে এগিয়ে সীমা চৌধুরী। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, সাহস, সততা এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য হিসেবে পরিচিত ডুয়ার্সের এই নেত্রী। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদিকা সীমা। তাই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সীমার নামে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ডুয়ার্সের চাবলয়ে। এ বিষয়ে সীমাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা দলের ব্যাপার। আমি কিছু বলব না। দল যাঁকে যোগ্য মনে করবে তাঁকেই দেবে। দলের ঊর্ধ্বে কেউ না।”