উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
মার্চ মাসে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মীদের বেতন সমস্যা আপাতত মিটতে চলেছে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। আজ, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স অফিসারের অবসর নেওয়ার আগে শেষ কাজের দিন। মেয়াদের শেষ দিন অস্থায়ী রেজিস্ট্রারেরও। উপাচার্যহীন এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার প্রকাশিত দু’টি সিমেস্টারের খারাপ ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে টিএমসিপি-সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। কারণ, ৭০ শতাংশের মতো পড়ুয়াকে ‘সাপ্লিমেন্টরি’ পরীক্ষা দিতে হবে একটি বা দু’টি পেপারে। সব দিক থেকেই পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে কে ফিনান্স অফিসার হবেন, এ দিন তা নিয়ে টানাপড়েন চলতে থাকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে।
উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে অবশ্য এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইন মেনে স্থানীয় ভাবে ফিনান্স অফিসার এবং রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব কাউকে দেওয়ার ক্ষেত্রে কী সমস্যা তা জানাতে। কর্তৃপক্ষের একাংশে দাবি, উপাচার্যহীন অবস্থায় তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা রয়েছে। জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি।’’ ফিনান্স অফিসার সুখেন সাহা অবশ্য এদিন বলেন, ‘‘সকলের বেতন যাতে না আটকায় সে কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেব। তাঁদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা দেখতে হবে।’’ তাঁর এই বক্তব্যেই বেতন সমস্যা কাটার ইঙ্গিত পাচ্ছেন শিক্ষক ও কর্মীরা।
কলেজগুলির তৃতীয় এবং পঞ্চম সিমেস্টারের খারাপ ফল নিয়ে এ দিন পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্তকে স্মারকলিপি দেয় টিএমসিপি। তারা খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায়। পরীক্ষা নিয়ামক বলেন, ‘‘অনলাইন পরীক্ষার জন্য পড়াশোনার অভ্যাস নষ্ট হয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবকদের তা বুঝতে হবে। কলেজমুখী করতে হবে পড়ুয়াদের।’’
টিএমসিপি নেতা মিঠুন বৈশ্য, অয়ন মোহান্তিরা জানান, খারাপ ফলের দায় পড়ুয়াদের যেমন রয়েছে, তেমনি শিক্ষকদেরও রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বও বিষয়টি জানতে চান। সেই মতো ফল খারাপের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি কর্তৃপক্ষকে জানান। সেই সঙ্গে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা শুভব্রত অধিকারীর কথায়, উপাচার্য নিয়ে ডামাডোল পরিস্থিতির জের, পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যা সব নিয়েই এই অবনতি।
এসএফআই-এর দার্জিলিং জেলার সম্পাদক অঙ্কিত দের কথায়, ‘‘লকডাউন থেকে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়। আমরা তখনই বলেছিলাম বিধি মেনে স্কুল-কলেজ পড়াশোনা চালু করতে।’’