—ফাইল চিত্র।
বাস চালু করে প্রথম দিনেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি করলেন শিলিগুড়ির বেসরকারি বাস মালিকরা। সোমবার প্রায় ফাঁকা বাস চালাতে হয়েছে বলে জানালেন তাঁরা। পুরনো ভাড়ায় এ ভাবে বেশি দিন বাস চালানো যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ভাড়া না বাড়ালে এরপরে তাঁদের বাস বন্ধ করতে হতে পারে বলে দাবি বাস মালিকদের একাংশের।
সোমবার শিলিগুড়ি থেকে মোট ১২টি বেসরকারি বাস উত্তরবঙ্গের কয়েকটি রুটে চলেছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী বাসের সব আসনেই যাত্রী নেওয়া যাবে। তবে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না। কিন্তু এ দিন ২০ জন করে যাত্রীও হয়নি বলে বাস মালিকরা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, ৭-৮ জন করে যাত্রী নিয়ে পুরনো হারে ভাড়ায় বাস রাস্তায় চললে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। শিলিগুড়ি-কোচবিহার রুটে একটি বাস চললে ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই রুটে এ দিন ৭-৮ জন করে যাত্রী নিয়ে বাস চলেছে বলে বাস মালিকরা জানিয়েছেন।
নর্থবেঙ্গল প্যাসেঞ্জার্স ট্রান্সপোর্ট ওনার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি সম্পাদক প্রনব মানি জানান, কিছুটা ক্ষতি হলেও তাঁরা এ ভাবে আরও ২-১ দিন বাস চালিয়ে পরিস্থিতি দেখবেন। তারপরেও যাত্রী না বাড়লে অন্য কথা ভাবতে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘বাস ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারকে ভাবতে হতো। তা না হলে ক্ষতি করে বাস চালানো সম্ভব নয়।’’ বেসরকারি বাসগুলি এ দিন প্রশাসনের নিয়ম মেনেই চলাচল করছে। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার এবং দূরত্ব বিধি মানার বিষয়টি মানা হয়েছে।
তবে এ দিন এনবিএসটিসির অনেক বাসে ভাল যাত্রী হয়েছে। প্রত্যেক সিটে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করেছে শিলিগুড়ি-মালদহ রুটের বাসগুলি। এনবিএসটিসির শিলিগুড়ি ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতেও কিছু বাস চলছে। ফলে বিভিন্ন রুটে কিছুটা কম বাস চালাতে হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি দেখা হবে।’’
সোমবার শিলিগুড়ি শহরে বেশকিছু সিটি অটো চালু হয়েছে। সেগুলিতেও যাত্রী তেমন হয়নি। প্রশাসন সিটি অটোগুলিতে ২ জন করে যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের নির্দেশ দিয়েছে। তা মানতে রাজি নন সিটি অটো মালিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বাস সব আসনে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারলে তারা পারবেন না কেন। এ দিন শহরের প্রধান রাস্তায় কিছুটা যানজট হয়েছে। ৮ জুন থেকে শপিংমল, মার্কেট খোলার কথা।