পুরসভা নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণার পরে প্রার্থী বাছাইয়ের তৎপরতা শুরু হয়েছে সব দলেরই। তবে গোষ্ঠী কোন্দল বা মতানৈক্য এড়াতে ধূপগুড়ির সব দলই তাঁদের প্রার্থীপদ মোটামুটি ঠিক করে তা রাজ্য কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। ধূপগুড়ির কোন দলই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম জানাতে চাইছে না। সবাই রাজ্য কমিটির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু বুনিয়াদপুরে বিজেপি অনেক ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই প্রার্থীর নাম ছাড়াই দেওয়াল লিখন পর্যন্ত সেরে ফেলেছে। ধূপগুড়িতেও এ দিন বিকালে সেখানে যুবমোর্চার জলপাইগুড়ি জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ওই সভা থেকেই বিজেপি নেতারা পুরভোটের প্রচারে নেমে পড়েন৷
বৃহস্পতিবার সাতটি পুরসভার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যে নির্বাচন কমিশন। ১৩ অগস্ট নির্বাচন। ১৭ অগস্ট ভোট গণনা।
গত ২৫ জুন ধূপগুড়ি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে এই পুরসভা রয়েছে প্রশাসকের হাতে। ধূপগুড়ির তৃণমূল জেলা কমিটি জানায়, দু’এক দিনের মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করবে রাজ্য কমিটি। সিপিএমের সাংগঠিক এরিয়া কমিটি জানায়, আগামি ১৭ জুলাই ধূপগুড়ি কমিউনিটি হলে কর্মিসভা করতে আসবেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। সে দিনই তিনি সিপিএমের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন। বিজেপি জানায়, ১৬ জুলাই রাজ্য কমিটি বিজেপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেন, ‘‘হেরে যাওয়ার ভয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দিল রাজ্য সরকার।’’ ধূপগুড়িতে বিজেপির কর্মিসভায় এসে তিনি এ কথা বলেন।