অমলকে সরালেন প্রশান্ত, বিপ্লবের ছায়ার সঙ্গে লড়াই তৃণমূলের

চিঠি প্রসঙ্গে অমলের বক্তব্য, ‘‘পুরসভাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছেন পুরপ্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে সংখ্যা গরিষ্ঠ কাউন্সিলাররা অনাস্থা এনেছেন। এখন কায়দা করে তিনি আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আস্থা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যে দিনই আস্থা ভোট হবে সেদিনই আমরা প্রমাণ করে দেবো যে উনার সঙ্গে কেউ নেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:৪৯
Share:

প্রশান্ত মিত্র। নিজস্ব চিত্র

গঙ্গারামপুর পুরসভায় এ বার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল। বৃহস্পতিবার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র চিঠি দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান অমল সরকারকে তাঁঁর পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। এই অমলবাবুর নেতৃত্বেই তৃণমূল প্রশান্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। এ দিন তাঁকেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিঠি প্রকাশ করলেন প্রশান্ত।

Advertisement

চিঠি প্রসঙ্গে অমলের বক্তব্য, ‘‘পুরসভাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছেন পুরপ্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে সংখ্যা গরিষ্ঠ কাউন্সিলাররা অনাস্থা এনেছেন। এখন কায়দা করে তিনি আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আস্থা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যে দিনই আস্থা ভোট হবে সেদিনই আমরা প্রমাণ করে দেবো যে উনার সঙ্গে কেউ নেই।’’ প্রশান্তের দাদা বিপ্লব মিত্র কয়েক দিন আগে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিপ্লব বিজেপিতে যাওয়ার দিনই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ আজীবনের জন্য প্রশান্তকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন। পাশাপাশি ওইদিনই পুরসভার ৯ জন কাউন্সিলার দিয়ে প্রশান্তের বিরুদ্ধে অনাস্থাও এনেছেন। অনাস্থা আনার পরে দশ দিন পেরিয়ে গেলেও আস্থা ভোট ডাকেননি পুরপ্রধান প্রশান্ত। কিন্তু নিয়ম অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান আস্থা ভোট না করালে ভাইস চেয়ারম্যান পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করিয়ে পুরপ্রধানকে পদ থেকে অপসারিত করতে পারেন। তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, আস্থা ভোটের জন্য হাতে বাড়তি সময় পেতেই পুর আইনের বিশেষ ধারা প্রয়োগ করে ভাইস চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিল প্রশান্ত।

পুরসভা সূত্রে খবর, পুর আইনের ২১(সি) ধারা অনুযায়ী পুরপ্রধান তাঁর ক্ষমতা বলে ভাইস চেয়ারম্যানের পদই তুলে দিতে পারেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান না থাকলে আস্থা ভোট করাতে হাতে বাড়তি সাত দিন সময় পেয়ে যাবেন পুরপ্রধান। প্রশান্তের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে আনতেই এই বিশেষ আইন প্রয়োগ করলেন তিনি। প্রশান্ত বা বিপ্লব, কেউই ফোন ধরেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement