রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
আগামী তিন মাসের মধ্যে সুষ্ঠু ভাবে ‘আবাস প্লাস’ যোজনার ঘর বিলি করতে জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠাল রাজ্য প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গত ৩১ ডিসেম্বর আবাসের সমীক্ষা শেষ করে, ৯০ হাজার উপভোক্তার নামের চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হয়েছে। কাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তার জন্য নির্দেশ এসেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও। তবে চতুর্থ সমীক্ষার পরেও, তালিকায় নাম না-থাকা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছেই।
আগামী তিন মাসের মধ্যে ঘর তৈরি করে তা উপভোক্তাদের দিতে হবে। তালিকায় গোলমালের মতো এ ক্ষেত্রে যেন কোনও সমস্যা না হয়, স্বচ্ছতা বজায় থাকে, তা নিয়ে সচেতন রাজ্য প্রশাসন। জেলায় জেলায় নির্দেশ এসেছে, ঘর বিলিকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, যাতে নতুন করে কোনও বিতর্ক তা নিয়ে দেখা না দেয়, তার জন্য সতর্ক থাকার ইঙ্গিত রয়েছে ওই নির্দেশে। ইতিমধ্যেই টাকা বিলি নিয়ে কয়েক দফার বৈঠক হয়ে গিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। গোটা প্রক্রিয়া নজরদারির জন্য জেলাশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং ম্যাজিস্ট্রেট স্তরের আধিকারিকদেরও কাজে নামানো হবে।
তবে সমীক্ষায় তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরেও, জেলায় বিতর্ক, বিক্ষোভ থামছে না। এর মধ্যে কী ভাবে সুষ্ঠু ভাবে কাজ হবে? জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘আমরা ঠিক সময়েই প্রাপকদের ঘর বিলির কাজ শেষ করব। কোনও অভিযোগ থাকলে নিশ্চয়ই তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
জেলার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য দাবি করেন, ‘‘নির্দেশ থাকলেও, সুষ্ঠু ভাবে ঘর দিতে প্রশাসন পারবে না। তৃণমূল নেতারা প্রচুর মানুষের কাছে ঘর দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘টাকা নেওয়ার কোনও অভিযোগ পাইনি। বিজেপি নেতারা সব কিছু নিয়েই রাজনীতি করেন। রাজ্য সরকার সুষ্ঠু ভাবেই সবটা করবে, যেটা কেন্দ্রীয় সরকার পারে না।’’