ঘরেতে অভাব, দু’চোখে তবু স্বপ্নের ছোঁয়া

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেই সফল। কিন্তু সংসারে অনটন লেগেই আছে। অভাবী পরিবারগুলির সেই সব মেধাবী ছেলেমেয়ের সংবাদ রইল এই প্রতিবেদনে যারা প্রশ্নপত্রের টক্করে ভয় পায় না, অভাবের বাধাও যারা পেরিয়ে যাবে বলে বদ্ধপরিকর।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৬ ০২:৩৮
Share:

হাল ধরেছেন দাদা

Advertisement

শিলিগুড়ির ঘোগোমালি হাইস্কুলের সান্ত্বনা পাল। বাড়ি তেলিপাড়া এলাকায়। বাবা রামপ্রসাদবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। মা চায়নাদেবী গৃহবধূ। হায়দরপাড়ায় অন্যের দোকানে দর্জির কাজ করে দাদা সাধন পাল কোনওমতে সাত জনের সংসার চালায়। আসলে চলে না বললেই চলে। পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারছিল না সান্ত্বনা। পরে দাদাই ধার করে এনে ফি জমা দেওয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারে। দাদার উৎসাহ, আর স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে পরীক্ষায় বসে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫১১। প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল রায়ের দাবি, নম্বর দিয়ে তার সাফল্য মাপা যাবে না। পরীক্ষার কয়েক মাস আগেই পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বাবাকে নিয়ে বাড়ি-হাসপাতাল করতে গিয়ে পড়াশোনা হয়নি। তারপরেও প্রবল জেদকে সঙ্গী করে পরীক্ষায় বসেছে সে। সবচেয়ে বেশি পছন্দের অঙ্ক হলেও অনুশীলনের অভাবে নম্বর কমে গিয়েছে বলে আক্ষেপ। অঙ্কে প্রাপ্ত নম্বর ৭২। সর্বোচ্চ ৮২ পেয়েছে জীবন বিজ্ঞানে। পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও অঙ্ক ও ভৌত বিজ্ঞানে নম্বর কমে গিয়েছে বলে হয়ত জীববিদ্যা পড়তে হবে। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায় সে। কিন্তু আর্থিক সমস্যা এখন অন্তরায়। উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে গেলে ভাল শিক্ষক দরকার। নইলে তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে এঁটে ওঠা যাবে না, তা ভালই জানেন। কিন্তু আর্থিক সাহায্য কিছু না পেলে কী করবেন এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি সে। দাদাও চায়, ‘‘বোন পড়ুক। কিন্তু ইচ্ছে আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক রয়েছে যে।

কষ্টই ভরসা বিপ্লবের

Advertisement

বাবা পরিতোষ পাল মাটির জিনিস তৈরি করতেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য কয়েক বছর ধরে কাজ করতে পারেন না। মা আলোদেবী পরিচারিকার কাজ করেন। দুই ভাই এক দিদি। কোনও রকমে সংসার চলে। মামাতো দাদা পড়াশোনার খরচ দেন। না হলে পড়াশোনা চালানোই মুশকিল হত বুদ্ধ ভারতী হাইস্কুলের ছাত্র বিপ্লব পালের। বাড়ি চয়নপাড়া এলাকায়। সেখান থেকে হেঁটেই স্কুলে যেতে আসতে হত। কিন্তু যত কষ্টই হোক পড়াশোনা করতে হবে সেটাই জেদ। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা করার মধ্যেও আনন্দ খুঁজে পায় বিপ্লব। মাধ্যমিকে এ বার ৫১১ পেয়েছে। বিপ্লবের ওই রেজাল্ট দেখে খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপ্নেন্দু নন্দী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মামাতো দাদার পরিচিত তিন শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ত বিপ্লব। বিজ্ঞান বিভাগে তিনটি বিষয় অঙ্ক, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান একজন শিক্ষকের কাছে পড়েছেন। আরও দুই শিক্ষকের একজন বাংলা, ইতিহাস, ভুগোল পড়াতেন। অপর জনের কাছে ইংরেজি পড়তেন। পড়ার খরচ মামাতো দাদা গৌরাঙ্গবাবুই দিতেন। তিনিও একটি বিমা সংস্থার সাধারণ এজেন্ট। তবে বিপ্লবের এবং তার ভাই সমীরের পড়াশোনা খরচ তিনিই দেন। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় বিপ্লব। বুদ্ধভারতী স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ নেই। বরদাকান্ত স্কুলে ভর্তি হতে চাইছেন। সেখানে বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। বিপ্লব ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায়। উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে ভরসা মামাতো দাদাই। কিন্তু তিনিই বা কত সাহায্য করবেন। তাই দুশ্চিন্তা তো রয়েইছে।

চিন্তিত বাবা-মা

অঙ্কে একশোয় একশো পেয়েও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে চিন্তায় শাশ্বত সাহা। বাবা লেদ ফ্যাক্টারিতে খাতা লেখার কাজ করেন। আর মা শিশুদের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। সংসারের অভাব অনটনকে হার মানিয়ে মাধ্যমিকে ৬৬৭ নম্বর পেয়েছে শাশ্বত। আর তার এই ফলে খুশি পরিবার সহ ইংরেজবাজার শহরের লেক গার্ডেনের বাসিন্দারাও। ছেলের সাফল্য খুশি হলেও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত শাশ্বতের বাবা মা। তবে পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকলেও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে শাশ্বত। সে জানায়, কলকাতা থেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। তার কথায়, ‘‘এই পর্যন্ত পড়াশোনা করাতে বাবা মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে জানি। তবে আমার স্বপ্ন আমি একদিন চিকিৎসক হব।’’ নন্দিতাদেবী বলেন, ‘‘সকালে ছোটদের বেসরকারি একটি স্কুলে পড়াই। আর বিকেল বেলা গান শেখাই। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আরও প্ররিশ্রম করতে হলে আমি তাও করব।’’ শাশ্বত ইংরেজবাজারের অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। শাশ্বতর ছ’জন গৃহ শিক্ষকের মধ্যে অধিকাংশই বেতন নিতেন না। আর বই পত্র দিয়েও সাহায্য করতেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। শাশ্বত বাংলায় ৯৬, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৮৭ ও ভূগোলে ৯৬ নম্বর পেয়েছে।

মা স্কুলেই রান্না করেন

মাথার উপর রয়েছে এক চিলতে টিনের চাল। তা-ও তা নাকি সম্পূর্ণ নিজের নয়. বাবা চিরকালের মতো ছেড়ে গিয়েছেন, তখন বছর ১০ হবে। মা স্কুলের রাঁধুনির হেল্পার। ইসলামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেবজ্যোতি মোদক নিজেও ছোট বেলা থেকেই অসুস্থ। সমস্ত প্রতিকূলতা হারিয়ে মাধ্যমিকে প্রায় ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে এলাকাতে নজর কেড়েছে। তিন বোনের মধ্যেই দ্বিতীয় সে. বড় দিদি ইসলামপুর বালিকা বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। বোন ওই স্কুলেরই নবম শ্রেনীর ছাত্রী। ছোট বেলা থেকে পড়ার জন্য মাকে বলতে হয়নি। কিংবা সংসার চালাতে ও খাওয়ার জোগার করতে মেয়েদের বলার সুযোগ পর্যন্ত পাননি মা তিলত্তমা মোদক। তবুও যতটা পেরেছেন মেয়েদের পড়ার বিষয়ে উত্সাহ দিয়ে গিয়েছেন মা। ইসলামপুরের পুরাতনপল্লির বাড়ি তাদের। ঘরে বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা থাকলেও প্রচন্ড গরমে পাখার ব্যবস্থা নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট এর আগে থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে দেবজ্যোতি। অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছে সে। বাংলাতে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে, অঙ্ক ও ইতিহাস ছাড়া বেশির ভাগ বিষয়ে ৮০ শতাংশ নম্বর। মা বলেন, ‘‘মেয়েরা পড়াশোনায় ভাল বলে স্কুলে রান্নার সহযোগী হিসেবে কাজ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বই থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে স্কুলের সহযোগিতা পেয়েছি। বড় মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করায় রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষিকা জগদ্ধাত্রী সরকার বলেন, ‘‘খুব কষ্ট করেই পড়াশোনা করছে. ব্যক্তিগত স্তরেও ওকে সাহায্য করা হয়। খুব ভাল জায়গায় পৌছাতে পারবে সে।’’

বাবা পর্যন্ত পাশে নেই

বাবা হাই স্কুলের করণিক। কিন্তু পুত্র অভাবী। এ রকমও হয় নাকি! হ্যাঁ, ঠিক তাই হয়েছে ধূপগুড়ি মেধাবী ছাত্র উদয়শঙ্কর মন্ডলের ক্ষেত্রে। উদয়শঙ্কর ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে ৬১৯ নম্বর পেয়েছে। নিদারুণ কষ্টে এ বার মাধ্যমিকে বসে উদয়শঙ্কর। কোনও দিন তিনবেলা ভাল খাবার তো জুটত না। মা সবিতাদেবী ধূপগুড়ির একটি বাইকের দোকানে সামান্য মাস মাইনে কাজ করেন। যা এক জনের ভাল ভাবে চলার পক্ষেই দুস্কর। ছেলেকে ভাল মন্দ কিনে দেবেন কি করে? ধূপগুড়ির শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে উদয়শঙ্কর ও মা সবিতাদেবী বসবাস করেন। উদয়শঙ্করের বাবা পার্শ্ববর্তী মাথাভাঙা ব্লকের ক্ষেতি উচ্চ বিদ্যালয়ের করণিক পদে চাকরি করেন। কিন্তু মায়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতে ২০১০ সাল থেকে তিনি আর বাড়িমুখো হন না। ছেলে উদয়কে জাপটে ধরে কাঁদতে কাঁদতে সবিতাদেবী অভিযোগ, “কী বলব স্বামীর কথা। থেকেও তো নেই। দীর্ঘ দিন আগেই আমাকে ও ছেলেকে ফেলে চলে গিয়েছেন । মুখ দেখাদেখি নেই। ইচ্ছে হলে কোনও মাসে ব্যাঙ্কে বা কারও হাতে এক দেড় হাজার টাকা পাঠান। খুব কষ্টে ছেলেকে মানুষ করছি। ” উদয়শঙ্কর বলে, “আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বাবা পাশে না থাকায় সেই ইচ্ছেটাকে মন থেকেই মেরে ফেলেছি। এখন যদি মা খরচ চালাতে পারে, অধ্যাপক হতে চাই।” ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক মজুমদার বলেন, “পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ওর জন্য আমরা স্কুল থেকে সব সময় চেষ্টা করে গিয়েছি এবং উঁচু শ্রেণিতে পড়ার জন্যও সাহায্য করব।” চেষ্টা করেও উদয়শঙ্করের বাবা চঞ্চলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

যমজ ভাইয়ের সাফল্য

মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে দুই সহোদরের? অর্থিক সমস্যাই এখন বাধা হয়ে দাড়িয়েছে অরূপ ও অরিজিৎ দেবনাথের। আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা হাইস্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করেছে এই দুই যমজ ভাই। বাবা দীনবন্ধু দেবনাথ পোরোরপাড় এলাকার কৃষক। মা পূর্ণিমা দেবনাথ গৃহবধূ। এক দিদি তপসিখাতা হাইস্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, দুই ভাই পড়শোনায় ভাল। বাবাকেও কৃষিকাজে সাহায্য করে ওরা। তবে আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না হওয়ায় ভবিষৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পরিবারটি। দীনবন্ধুবাবু জানান, অরূপ ও অরিজিৎ যথাক্রমে মাধ্যমিকে ৫৭৯ ও ৫৮৩ পেয়েছে। এখন প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলে ভর্তি হবে। দুই ছেলেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। আমি চাইছি ওরা কলা বিভাগে ভর্তি হক। বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে সে খরচ কোথা থেকে জোগাব চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মাত্র ৩ বিঘা জমি রয়েছে। তাই ভরসা।’’ অরিজিৎ বাংলায় ৯০, ইংরেজি ৫৭, অঙ্কে ৭২ ভৌতবিজ্ঞানে ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে ৯১, ইতিহাসে ৮৩ ও ভূগোলে ৯৬ পেয়েছে। সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। অরূপ বাংলায় ৮৫, ইংরেজিতে ৬১, অঙ্কে ৬৯, ভৌতবিজ্ঞানে ৯১, জীবন বিজ্ঞানে ৯২, ইতিহাসে ৮৪ ও ভূগোলে ৯৭ পেয়েছে। সে অধ্যাপনা করতে চায়।

হার মেনেছে অনটন

ছোটবেলায় বাবা মারা গিয়েছে। মা লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে কোনওমতে সংসার চালান। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমাশাপল্লির হতদরিদ্র ঘরের মেয়ে দেবী রায় মাধ্যমিকে স্টার পেয়ে সকলের নজর কেড়েছে। টালির এক চিলতে ভাড়া বাড়ির ঘরে থেকে কঠিন লড়াই চালিয়ে স্হানীয় নালন্দা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী দেবী এবারে মাধ্যমিকে মোট নম্বর পেয়েছে ৬০৭। চরম দারিদ্রর কাছে হার না-মানা মেয়ের স্টারমার্ক পাওয়ার খবর পেয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মা সাধনাদেবী। তিনি বলেন, মেয়েকে ভাল মন্দ খেতে দিতে পারিনি। প্রাইভেট টিউশনও ঠিক মতো পায়নি। ভবিষ্যতে দেবীর ইঞ্জিনীয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে কী ভাবে সম্ভব হবে, আর্থিক অনটনের কথা ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সাধনাদেবীর। দেবীর সাফল্যের পিছনে ওর মায়ের আবদানের পাশাপাশি গৃহশিক্ষক আয়েশকান্ত গোস্বামী এবং স্কুলের দীপক স্যারের সাহায্যের কথা জানাতে ভোলেনি সে। তা ছাড়া দুজন গৃহশিক্ষক অল্প টাকায় বিজ্ঞান ও অঙ্কের বিষয়গুলি দেখিয়েছেন। প্রতিবেশিরা জানান, নিজের চেষ্টায় মেয়েটা ভালো ফল করেছে। ভবিষ্যতে আরও ভাল করবে নিশ্চয়ই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement