—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য কোচবিহারের মাথাভাঙার লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি হাট এলাকায়। মৃতের নাম দুলাল বিশ্বাস। তৃণমূলের অভিযোগ, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘‘রবিবার রাতে মাথাভাঙার লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৬২ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। খাওয়া-দাওয়ার পর দুলাল নামে ওই তৃণমূল কর্মী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও আর বাড়ি পৌঁছননি। পরে খোঁজ করে রাস্তায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যেরা। এখন তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে দুলালকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। কিন্তু একই রকম অভিযোগ করছে মৃতের পরিবারও।
মৃত তৃণমূল কর্মীর মামা যুধিষ্ঠির বিশ্বাস বলেন, ‘‘কয়েক জন বিজেপি কর্মী মাস তিনেক আগে দুলালকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন। রবিবার রাতে নিমন্ত্রণ বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। রাস্তায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশকে খবর দিলে ওরা এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আমাদের সন্দেহ, ওকে যারা হুমকি দিয়েছিল, তারাই এই খুনের সঙ্গে যুক্ত।’’ এই মৃত্যু নিয়ে যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী বলেন, ‘‘দুলাল বিশ্বাস আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। বিজেপির দুষ্কৃতীরা ওঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিত। বিজেপির মদতেই এই খুন হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে, লাঠি দেখিয়ে, রক্ত দেখিয়ে দমানো যাবে না।’’ অন্য দিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘গতকাল ওই এলাকায় তৃণমূলের মিছিল ছিল। তার পর তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। কোথাও কোনও গন্ডগোল হয়নি। যদি গন্ডগোল হত, তাহলে না হয় বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাত। এখানে তো কিছুই হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। পুলিশ নিশ্চয়ই তদন্ত করে এই খুনের কিনারা করবে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাক, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙা এসডি হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’