বরুয়া পঞ্চায়েতে রাড়িয়ায় পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে বাসিন্দাদের কিডনি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ। শুরু হল তদন্তও। কারা, কী ভাবে পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে কিডনি দিয়েছেন, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কারা বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছেন, তা দেখা হচ্ছে। জেলার অন্যত্র কোথাও আড়ালে এ ধরনের কিছু হচ্ছে কি না, সে সব খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে কিডনি বিক্রি করছেন বাসিন্দারা— এই অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যে এ ধরনের কিছু ঘটেছে, এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি। কোনও অভিযোগও নেই। জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কী হচ্ছে বা কারা যুক্ত, তা প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
রায়গঞ্জের বিন্দোলের জালিগ্রামে ২০০৮ সালে পাচার চক্রের খপ্পড়ে পড়ে বাসিন্দাদের অনেকে কিডনি দেওয়ার ঘটনায় সাড়া পড়ে যায়। আগে নিজেদের কিডনি দিয়েছেন, এমন কয়েক জন এলাকার বাসিন্দা পাচার চক্রের হয়ে কাজ করতেন বলে পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে। সে সময় অভিযুক্তদের কয়েক জনকে ধরপাকড়ও
করেছিল পুলিশ।
জালিগ্রামের পর এ বার রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে রাড়িয়ায় অভাবের তাড়নায় একই ভাবে বাসিন্দাদের কয়েক জন চক্রের ফাঁদে পড়ে কিডনি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। রাড়িয়ার মঙ্গলু রায়, ভূপেন রায়দের মতো গরিব পরিবারের বাসিন্দারা নিজেদের কিডনি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। গরিব পরিবারের বাসিন্দাদের কাজের নাম করে বাইরে নিয়ে গিয়ে, ভুল বুঝিয়ে কিডনি নেওয়া হচ্ছে বলে সরব হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ। জেলা পুলিশ, প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য তিনি আর্জি জানান। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনাও বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, কিডনি কাণ্ডের বিষয়টি প্রশাসনের তরফে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।