Jalpaiguri

ছিদ্র-রহস্য: ফের কাচে ফুটো, মিলল ছররা গুলির খোল

বুধবার দুপুরে জেলা ভূমি আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতরের একটি ঘরের জানলার কাচে ছিদ্র দেখা যায়। জানলার উল্টো দিকে থাকা আলমারিতেও ছিদ্র দেখা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০১
Share:

ছিদ্র মিলল ভূমি দফতরের তিন তলায়।

আবারও জানলার কাচে ছিদ্র মিলল ভূমি দফতরের তিন তলার ঘরে এবং এ বার সেখান থেকে ছররা গুলির খোলও উদ্ধার করেছে পুলিশ— এমনই দাবি সূত্রের। আজ, শনিবার ছিদ্র পরীক্ষা করতে ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞ দলের জলপাইগুড়িতে আসার কথা।

Advertisement

বুধবার দুপুরে জেলা ভূমি আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতরের একটি ঘরের জানলার কাচে ছিদ্র দেখা যায়। জানলার উল্টো দিকে থাকা আলমারিতেও ছিদ্র দেখা যায়। অনুমান করা হয়, কোনও কিছু কাচ ভেদ করে আলমারিতে গিয়ে লেগেছে। ঘটনাচক্রে, তার আগের দিনই দুই ব্যক্তি ভরদুপুরে অতিরিক্ত জেলাশাসককে তাঁর দফতরে ঢুকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরে, জানলার কাচ এবং আলমারিতে ছিদ্র দেখে গুলির আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।

শুক্রবার ওই একই ঘরের আরও দু’টি জানলার কাচে একই রকমের ফুটো দেখা যায়। এ দিন পুলিশের একটি দল ভূমি দফতরে তদন্তে যায়। পুলিশ ফুটো হওয়া জানলার কাছে ছররা গুলির খোল উদ্ধার করেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবাহালে বলেন, ‘‘গুলি বা জানলার কাচে ছিদ্র নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে যেমন উঠে আসবে, জানানো হবে।’’ আজ, শনিবার ছিদ্র পরীক্ষা করতে ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞ দলের জলপাইগুড়িতে আসার কথা। তবে ছররা গুলির খোল উদ্ধার হওয়ায় কাচের জানলার ছিদ্র যে গুলির কারণেই, সে বিষয়ে পুলিশকর্মীদের একাংশ মোটামুটি নিশ্চিত। এ দিন গুলির খোল উদ্ধারের পরে, অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সেগুলি দেখানো হয়েছে। ভূমি দফতরের দুই কর্মীকে সাক্ষী রেখে পুলিশ গুলির খোল-সহ নানা প্রমাণ সংগ্রহ করেছে বলে খবর।

প্রশ্ন উঠেছে, ছররা গুলি ছোড়া হল কোথা থেকে? সাধারণত এ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এক বার চালালে এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছররা বেরোয়। সাধারণত বন্যপ্রাণী তাড়াতে এই ধরনের গুলি ব্যবহার করা হয়। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা ভূমি দফতরের খানিক পিছনেই বন দফতরের চার তলা কার্যালয় অরণ্য ভবন। পুলিশকর্মীদের একাংশের অনুমান, বন দফতরের ছাদ থেকে কিছু ছোড়া হলে, সেটি ভূমি দফতরের তিন তলার জানলায় গিয়ে লাগতে পারে। বন দফতরের কাছে ছররাগুলির বন্দুকও থাকে। সেখান থেকে ভুলবশত গুলি চলে গিয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। যদিও বন দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘জলপাইগুড়ির অরণ্য ভবনে প্রশাসনিক কাজকর্ম হয়। সেখানে বন্দুক চালানোর প্রশ্নই নেই। আর বন্দুক চালানোই যখন হয় না, তখন ভুলবশত ছররা গুলি চালানোরও কারণ নেই।’’

সে ক্ষেত্রে ভূমি দফতরের দিকে তাক করে কে বা কারা কেনই-বা ছররা গুলি চালাল, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ-প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement