ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদ থেকে উত্তরপ্রদেশ, ভারতের একাধিক প্রান্তে গিয়েছেন সীমান্তে ধৃত চিনা নাগরিক হান চুনওয়েই। ভারতীয় ভাষা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল হান, এমনই মত পুলিশ ও রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)। তাঁদের কথায়, ভারতের খাদ্যাভাসে যেমন হান অভ্যস্ত, তেমনই ভাষা সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে তাঁর। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যের বিষয়বস্তু নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করতেন তিনি। যদিও কখনও জেরায় হিন্দি ভাষার প্রশ্নের উত্তর দেননি হান, দাবি পুলিশ ও এসটিএফের।
বৃহস্পতিবার হানকে পৃথক ভাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করে এসটিএফ। রবিবারও হানকে নিয়ে গিয়ে একবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল পুলিশ। এসটিএফও পুনর্নির্মাণ করে স্পষ্ট হান নিছক ঘুরতে আসেননি, বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েই ভারতে আসেন তিনি। এসটিএফ জানিয়েছে, হান ছক কষেই বাংলাদেশের চাঁদপাড়া গ্রাম দিয়ে কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুরে আসেন। তাঁকে দুই দেশের ‘লাইনম্যান’রা সাহায্য করেছেন। ‘লাইনম্যান’ সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে নারাজ হান। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “হান ভারতে অনুমতি নিয়ে চার বার এসেছেন। এ ছাড়া গোপনেও একাধিক বার ভারতে আসেন তিনি। সেই সময় স্থানীয়দের থেকে ওই এলাকার ভাষা শেখার চেষ্টাও করেন।”
বুধবার হানকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে ১০ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাঁকে রাজ্য পুলিশের একাধিক পদস্থ কর্তাও জেরা করেন। কখনও তিনি জেরায় ভেঙে পড়েননি। পুলিশের দাবি, হানের সঙ্গে চিনের সেনাবাহিনীরও যোগ রয়েছে। সেনার প্রশিক্ষণও নেওয়া রয়েছে তাঁর। যার জন্য দফায় দফায় জেরা করা হলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “জেরায় শরীরে হাত দিতে বাধা দেন হান। তল্লাশিতেও বাধা দেওয়া হয়।” তাঁর শরীরে মাইক্রো চিপ লুকোনো থাকতে পারে বলে ধারণা এসটিএফের। সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হানকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে শরীরের সিটি স্ক্যান করানো হবে বলে দাবি।
আজ, শুক্রবার হানকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে এসটিএফ। কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা হবে। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “ভারত থেকে হাজার খানেক সিম কার্ড চিনে নিয়ে যাওয়ার কারণও লুকিয়ে রয়েছে ল্যাপটপ, ফোনেই।”