উদ্ধার হওয়া বুলেট। নিজস্ব চিত্র
শহরের গুলির ঘটনা নিয়ে ফের উদ্বেগ বাড়ছে এলাকায়। শহরে নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু সাধারণ বাসিন্দারা নন, এলাকার ব্যবসায়ী মহলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগেই এইসব অপরাধের ঘটনা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। তবে কেন এত বন্দুক-পিস্তলের ব্যবহার, তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার সব মহলেই। যদিও পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ইসলামপুর পুলিশ জেলার থানা গুলোয় অভিযান চালিয়ে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’’
শুক্রবার গভীর রাতে ইসলামপুর থানা সুকান্তপল্লি এলাকায় তিস্তা ক্যানালের ধারে এক ভ্যানচালককে গুলি করে খুনের ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সম্ভবত অত্যাধুনিক পিস্তল ৭.৬৫ এমএম পিস্তল থেকে গুলি করেছিল। তবে অত্যাধুনিক এই ধরনের পিস্তল এলাকায় বেড়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে এলাকায়।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বোমা-পিস্তলের ব্যবহার দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি। এমনকি, নির্বাচন পর্ব কেটে গেলেও সেখানে দুষ্কৃতীদের বোমা-পিস্তলের ব্যবহার সব থেকে বেশি হয়েছে ওই এলাকায়। এবার ইসলামপুর শহরের মধ্যে গুলির ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে শহরের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি ইসলামপুর শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সেই ঘটনায় শহরের এক ব্যবসায়ী তথা ওই যুবতীর প্রেমিক জড়িত ছিল বলেই দাবি পুলিশের। এমনকি, চোপড়া থেকে ‘সুপারি কিলার’ এনেই গুলি করা হয়েছিল বলে দাবি।
ইসলামপুর শহর সংলগ্ন বিহার, কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। তবে দুষ্কৃতীরা বিহার থেকে খুব সহজেই আগ্নেয়াস্ত্র এনে নানান অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছে, এই ধরনের পিস্তল কিনতে গেলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকাই যথেষ্ট। তবে জায়গাটি বিহার সংলগ্ন হওয়ায় অপরাধ করে বিহারে পালানো সহজ বলে মনে করছেন অনেকে।
ইসলামপুরের মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদেব নন্দী বলেন, ‘‘এই ধরনের গুলির ঘটনা খুব উদ্বেগের কারণ। সামনে পুজো। তার আগে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিত। নতুন পুলিশ সুপার যোগ দেওয়ার পর ওঁর সঙ্গে দেখা করেছি। উনি কিছুদিন সময় চেয়েছেন সমস্ত কিছু ঠিকঠাক করার জন্য।’’ ইসলামপুরের পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলেই গুলি চলেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এলাকার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে, পুলিশকে বলাও হয়েছে।’’