প্রতীকী ছবি।
বাংলায় লিখে কেন টাকা জমা দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্ন তোলায় উত্তেজনা ছড়াল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাগডোগরা শাখায়। শিলিগুড়ির কাছের ওই শাখার গ্রাহক বিশ্বনাথ রায় মঙ্গলবার গিয়ে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাংলায় লেখা ফর্ম চান। কিন্তু ব্যাঙ্কে বাংলা ফর্ম ছিল না। তাই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিশ্বনাথবাবু ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে চান। ম্যানেজার তখন ব্যাঙ্কে গোলমাল হচ্ছে এবং সে জন্য পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে অভিযোগ করে পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশও আসে। বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বন্ধুও। তাঁদের সকলকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একটি ব্যাঙ্কে গিয়ে বাংলায় লেখার সুযোগ পাইনি। সেই অধিকার চাওয়ায় পুলিশ ডাকা হয়। আমরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করছি।’’ তবে কোনও পক্ষই লিখিত কোনও অভিযোগ করেননি। পুলিশ কিছু ক্ষণ পরে বিশ্বনাথবাবুদের ছেড়ে দেয়।
কেন ব্যাঙ্কে বাংলায় ফর্ম নেই? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এত দিন কেউ বাংলায় ফর্ম চাননি, তাই সে কথা ভাবাও হয়নি। এ বার যদি বিশ্বনাথবাবু লিখিত ভাবে বাংলায় ফর্ম চেয়ে দাবি করেন, তা হলে ব্যাঙ্কটির আঞ্চলিক কর্তাদের কাছে সেই দাবি পাঠানো হবে। তবে ব্যাঙ্ক সূত্রেই জানা গিয়েছে, যে রাজ্যে শাখা, সেই রাজ্যের স্বীকৃত ভাষাগুলিতে গ্রাহকরা যাতে কাজকর্ম করতে পারেন, সে সুযোগ থাকার নিয়ম রয়েছে। বিশ্বনাথবাবুর বন্ধু কৌশিক সরকারের কথায়, ‘‘কোনও ব্যাঙ্কই কিন্তু সেই নিয়ম মানে না। তাই আমরা আজ সেই ফর্মই দাবি করেছিলাম। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাদের কথার উত্তর দিতে না পেরে পুলিশে খবর দিলেন, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আন্দোলন করব।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বাংলা ভাষায় কাজ করতে চেয়েছেন বলে কাউকে আটক করা হয়নি। তাদের কাছে খবর আসে ব্যাঙ্কে গোলমাল হচ্ছে। তাই তারা গিয়ে ওই তিন যুবককে থানায় নিয়ে এসেছিলেন।