সুকান্তর রাস্তায় ডাম্পার-ট্রাক্টর

বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার করণদিঘিতে তৃণমূল নেতৃত্ব নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে মিছিল বের করে। সেই মিছিলের সময় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করণদিঘি ও বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৬
Share:

‘বাধা’: বালুরঘাটে বিজেপির অভিযানে। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির প্রতিনিধি দলের পথ আটকানোর অভিযোগ উঠল করণদিঘিতে। উত্তর দিনাজপুরের কানকি এলাকায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল। অভিযোগ, এলাকায় যাওয়ার রাস্তায় বালি বোঝাই ডাম্পার রেখে তাঁদের পথ আটকানো হয়। পুলিশই ডাম্পার রেখে তাঁদের পথ আটকেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তোলে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার করণদিঘিতে তৃণমূল নেতৃত্ব নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে মিছিল বের করে। সেই মিছিলের সময় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, তখন করণদিঘি সংলগ্ন চাকুলিয়া থানার কানকি এলাকায় তাঁদের কর্মীদের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকটি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কানকির সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাংসদ সুকান্তবাবু স্থানীয় বিজেপি নেতাদের নিয়ে রওনা দেন।

করণদিঘি পেরিয়ে পাতনোর এলাকার কাছে যেতেই পুলিশ তাঁদের রাস্তা আটকে দেয় বলে সাংসদের দাবি। সুকান্তবাবুর অভিযোগ, রাস্তার মাঝ বরাবর একটি বালি বোঝাই ডাম্পার আড়াআড়ি ভাবে দাঁড় করিয়ে রেখে দেয় পুলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে সেই রাস্তা ছেড়ে বাইপাস ধরে ঘুরপথে কানকি যাবার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু বাইপাসের রাস্তাতেও একই কায়দায় ট্রাক্টর রেখে তাদের পথ আটকানো হয় বলে তাদের দাবি।

Advertisement

সুকান্ত অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। কিন্তু তা না করে আমাদের রাস্তা এই ভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে। যাতে এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে আমরা দাঁড়াতে না পারি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের এই অসহযোগিতার জন্য আমরা সেখানে পৌঁছতে পারলাম না। তাঁদের জন্য আনা ত্রাণ সামগ্রীও বিলি করতে পারলাম না।’’

যদিও পুলিশ বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘ডালখোলায় যানজট ছিল। তাই হয়তো তাঁরা যেতে পারেননি।’’ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘পুলিশ কেন তাঁদের আটকাবে? এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ একই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বেরও। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘ওই দিন মিছিলের সময় দুষ্কৃতীরা কয়েকটি বাসে ভাঙচুর করেছিল। কিন্তু কোনও বাড়িতে হামলা হয়নি। তাই বিজেপি কোথায় যাচ্ছিল সেটা তারাই ভাল বলতে পারবে। যেখানে কোনও ঘটনাই ঘটেনি সেখানে তাদের রাস্তা আটকানোরও প্রশ্ন ওঠে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement