খোঁজ: গুলির খবর পেয়েই ছুটে এলেন রক্ষীরা। —নিজস্ব চিত্র
গুলির আওয়াজে তোলপাড় হয়ে গেলেও রাত পর্যন্ত জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে কোনও ফাঁকা কার্তুজ পায়নি বন দফতর। সরকারি সূত্রের খবর, গুলির শব্দ শোনার পরে সঙ্গে সঙ্গে টহলরতা কর্মীরা গভীর জঙ্গলের কিছু বাইসনকে ছোটাছুটি করতে দেখেছেন। আশেপাশে কিছু গন্ডারও ছিল বলে সূত্রের খবর। সাধারণত, চোরাশিকারিরা দিনের আলোয় গুলি চালিয়ে হাতি কিংবা গন্ডারের মতো বুনো জন্তু মারার সাহস দেখায় না বলে কয়েক জন বনকর্মী জানান।
গভীর রাতই সাধারণত পছন্দ চোরাশিকারিদের। এ ক্ষেত্রে হরিণ-সম্বর শিকারের জন্য কোনও দল ঝুঁকেছিল কি না, সেটা বন দফতর খতিয়ে দেখছে। মেটেলি ছাড়াও নাগরাকাটা ও বানারহাট থানার পুলিশও তল্লাশিতে সামিল হয়েছে।
বন দফতরের টহলরত কর্মীদের একজন জানান, গুলির শব্দ পেয়ে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। মোবাইলে বার্তা চালাচালি করে চার দিক থেকে তাঁরা জঙ্গলে তল্লাশিতে নেমে পড়েন। সেই সময়ে ফের গুলি চললে উৎস লক্ষ করে বনকর্মীরাও গুলি চালান বলে বনবস্তিবাসীদের একাংশের দাবি। তবে বনপাল (বন্যপ্রাণ) সুমিতা ঘটক বলেন, ‘‘সকালের দিকে বন কর্মীরা টহল দেওয়ার সময় জঙ্গলের ভেতরে একটা অস্বাভাবিক শব্দ পান৷ লোকে বলছে সেটা গুলির শব্দ। কিন্তু আমাকে কর্মীরা কেউ গুলি চালানোর কথা বলেননি৷ আমাদের কেউ গুলি চালিয়েছে বলেও জানা নেই।’’ উপরন্তু তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি ওখানেই ছিলাম৷ গুলির শব্দ তো পাইনি৷’’
আরও পড়ুন:পশু-পাখি দত্তক দেবে চিড়িয়াখানা
তবে পুলিশের নিচুতলার কাছে গুলি-পাল্টা গুলি চালানোর খবর বাসিন্দাদের একাংশ মারফত পৌঁছেছে। যদিও জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও বলেন, ‘‘ধূপঝোড়ার জঙ্গলে গুলি চলেছে বলে কোনও খবর আমার কাছে নেই৷ তবে জঙ্গলে কিছু একটা শব্দ পাওয়ার কথা আমাদের জানানোর পরে আমরা পুলিশ বাহিনী ও সিআইএফ সেখানে পাঠাই৷’’
বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন অবশ্য সবই খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।