জল্পেশ জমজমাট

রীতিমতো উৎসবের মেজাজেই ভক্তদের মন্দিরে যেতে দেখা গিয়েছে। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ভক্তদের হাতে পানীয় জল ও ঠান্ডা পানীয় তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থার তরফে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

জল্পেশ শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

অপেক্ষা: জল্পেশে জল দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন মন্দির থেকে অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

উত্তরবঙ্গের অন্যতম শৈব তীর্থ বলে পরিচিত জল্পেশ এখন শ্রাবণী মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা। গত দু’দশকে জল্পেশে পুণ্যার্থীদের এরকম ভিড় দেখা যায়নি বলে দাবি মন্দির কমিটিরই। প্রায় দু’লক্ষেরও বেশি মানুষের ভিড় উপছে পড়েছে বলে দাবি মেলা কমিটির। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত মন্দিরের প্রধান ফটক থেকে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুণ্যার্থীরা। রাতেও সেই লাইন বেশ দীর্ঘ। রবিবার সন্ধে থেকেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমতে শুরু হয়েছিল। রাত যত বেড়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়ও ততই বেড়েছে বলে দাবি কমিটির।

Advertisement

রীতিমতো উৎসবের মেজাজেই ভক্তদের মন্দিরে যেতে দেখা গিয়েছে। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ভক্তদের হাতে পানীয় জল ও ঠান্ডা পানীয় তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থার তরফে। তবে প্রশ্ন উঠছে, পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে পেরেছেন কি না, তা নিয়েও।

জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘‘রেকর্ড সংখ্যক মানুষের ভিড় উপছে পড়েছে। এর আগে কখনও এরকম অভিজ্ঞতা হয়নি আমাদের। প্রায় দু’লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থীরা এ দিন মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন। বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত ভক্তদের ভিড় এর আগে দেখা যায়নি। এখনও পর্যন্ত টিকিটের হিসেব শেষ করা হয়নি। তবে টিকিট ছাড়াও অনেকেই মন্দিরে ঢোকেন।’’

Advertisement

তিস্তার ঘাট থেকে স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা জল নিয়ে জল্পেশের মন্দিরে যান। তাঁদের ভিড়ে রবিবার সন্ধে থেকেই তিস্তা সেতু এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। যানজট এড়াতে তিস্তা সেতু থেকে জল্পেশ মন্দির পর্যন্ত পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। রবিবার রাত থেকেই গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় সড়কে দূরপাল্লার ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে এ দিন পুলিশকেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বলে সূত্রের দাবি।

অসমের বরপেটা থেকে আসা পুণ্যার্থী ভবেশ দাস বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে জল্পেশে আসি। এই ধরনের ভিড় এর আগে কখনও দেখিনি। প্রায় চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দিরে ঢোকার সুযোগ পেয়েছি।’’ কোচবিহারের দিনহাটা থেকে আসা পুণ্যার্থী অণিমা রায় বলেন, ‘‘সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ লাইনে দাঁড়িয়েছি। বিকেল তিনটের পর মন্দিরে ঢুকেছি।’’

ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস জানান, পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলানোর পাশাপাশি জাতীয় সড়কের যানজট সমস্যা রুখতে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement