পরিদর্শন: বানভাসি এলাকায় মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
দু’দিন ধরে জলবন্দি। তার পরেও পৌঁছোয়নি ত্রাণ। পরিদর্শনে এসে তাই বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। এরপরেই দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে এলাকায় ত্রাণের ব্যবস্থা করেন তিনি। গত তিন দিন আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ জলবন্দি ছিলেন।
কাছাকাছি পরিস্থিতি তৈরি হয় কোচবিহারেও। প্লাবিত হওয়ার তিন দিন পরেও গ্রামে ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছনোর অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাসিন্দারা। সোমবার কোচবিহারের মারুগঞ্জের ধামের পাড় এলাকায় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন, তাঁদের গ্রামে এখনও অনেক বাড়ি জলমগ্ন। দু’দিন ধরে তাঁরা প্রায় না খেয়েই দিন কাটিয়েছেন। গ্রাম থেকে বাইরে বেরোনোর কোনও রাস্তা ছিল না। তার পরেও তাঁদের খোঁজ নিতে কেউ সেখানে যায়নি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের আলোধোওয়া এলাকাতে একটি রাস্তা পুরোপুর নদীগর্ভে ভেসে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেখানে নৌকা নামিয়ে পারাপার চলছে। ওই গ্রামেও ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ ছিল। পাশাপাশি দিনহাটার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং আলিপুরদুয়ারগামী রাস্তার খোল্টা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। দিনহাটায় অবরোধ তুলতে গেলে বিধায়ক উদয়ন গুহ ধাক্কা খান বলে অভিযোগ।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “কিছু কিছু এলাকায় খুব খারাপ পরিস্থিতি। যার ফলে দু’একটি জায়গায় পৌঁছতে আমার দেরি হয়। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য-প্রশাসন চেষ্টা করছে।”
আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন চেংপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিভা দেবনাথ জানান, প্রশাসনের কর্তারা দেখে গেলেও ত্রাণ পাননি। এ দিন এলাকায় ঘোরেন বিধায়ক সৌরভবাবু। তিনি জানান, এলাকার নামাতলায় কালজানি নদীর জল ঢুকে বহু বাড়ি ঘরের মাটি ধসিয়ে দিয়েছে। সৌর বাবু বলেন, “যথেষ্ট নৌকো ছিল না। ফলে সব জায়গায় সময় মতো পৌঁছনো যায়নি।’’
সৌরভ জানান, চেংপাড়া ২৪৮ বুথে দেখেছি মহিলারা বন্যার জলে ভেজা চাল শুকোচ্ছেন। তা শুকিয়ে রান্না করে খাবেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন এরকম হবে? মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে রাতুল বিশ্বাস দাবি করেন, বন্যার ক্ষতির জন্য শহরের বিধান পল্লির এক বাসিন্দা আত্মহত্যা করেছেন।