অমান্য: বর্ষবরণের রাতে ইংরেজবাজারের ফোয়ারা মরে কার্নিভালে ঢল। সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে মাস্ক ছাড়াই শহরবাসী। ছবি: স্বরূপ সাহা
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড হাসপাতালের পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতি চলছে গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও। শুক্রবার বছরের শেষ দিনে ঐতিহাসিক কেন্দ্র গৌড়, আদিনা থেকে শুরু করে মালদহের পিকনিক স্পটগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। ভিড়ে পারস্পরিক দূরত্ববিধি উধাওয়ের পাশাপাশি মুখেও মাস্ক নেই অধিকাংশ ভ্রমণ পিপাসুদের মুখেই। এরই সঙ্গে শহর থেকে গ্রাম, জেলার সর্বত্রই মাইক বাজিয়ে চলল বর্ষবরণও। তবুও হেলদোল নেই পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদের।
এ দিন সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে পরিবেশ জেলায়। বছরের শেষ দিনে রোদ ঝলমলে আবহাওয়ায় মন্দির, ঐতিহাসিক কেন্দ্র, পিকনিক স্পটে ভিড় উপচে পড়েছে। গৌড়, আদিনার পাশাপাশি হবিবপুরের জগজ্জীবনপুর, ইংরেজবাজারের কাজলদিঘি, পুরাতন মালদহের নিত্যানন্দপুরের এক পার্কে ভিড় জমান বনভোজনকারীরা। পার্কে মাস্ক ছাড়ায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাঁচ মহিলা।
মাস্ক পরেননি কেন? এক মহিলা বলেন, “টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া আছে। আর বাড়িতে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে পড়েছি। তাই বছরের শেষ দিনে পরিবার নিয়ে বেরিয়েছি। আর সঙ্গে মাস্ক রয়েছে।” তাঁদের পাশেই সেলফিতে মজে আরও একটি পরিবার। এক মহিলা বলেন, “মাস্ক পরে ভাল সেলফি তোলা যায় না। তাই মাস্ক খুলেছি।”
শহরের কার্নিভাল, পৌষ পার্বণ, পুষ্প প্রদর্শনীও চলছে। ছোট, বড় ক্লাবেও পালন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। দিনভর কার্যত বেলাগাম মালদহের ছবিটা দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। কারণ, রাজ্যে প্রথম ওমিক্রনের হদিশ জেলাতেই মিলেছিল। এ ছাড়া করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কোভিড হাসপাতালে ‘বাড়ন্ত’ হয়ে উঠেছিল শয্যা। মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে দায়িত্বশীল নাগরিকের ভূমিকা পালন করতেই হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাড়ির বাইরে বের না হওয়ায় উচিত।” মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “সর্বত্রই সচেতনতার পাশাপাশি ধরপাকড়ও করা হচ্ছে।”