অসচেতন: শিলিগুড়ির ৮ নম্বর ওয়ার্ড অগ্রসেন রোড এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন। সেখানে ফুচকার দোকান। নিজস্ব চিত্র
রোজই করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে শিলিগুড়ি শহর ও মহকুমা এলাকায়, বাড়ছে মৃত্যুও। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়িতে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা গিয়েছেন দু’জন। একজন ৭২ বছরের বৃদ্ধা, ভক্তিনগরের শালুগাড়ায় বাড়ি। আর এক জন চম্পাসারির বাসিন্দা। মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে শনিবার গভীর রাতে মারা যান দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা গঙ্গারামপুর থানার এক মহিলা এএসআই।
এ দিনই শিলিগুড়ি শহরে নতুন করে ৪০ জনের সংক্রমণ মিলেছে। পুর এলাকার বাইরে শিলিগুড়ি মহকুমা এবং পাহাড়ে আরও ২০ জন নতুন আক্রান্ত।
সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু ওয়ার্ড ও মহকুমা এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। সেখানে মেনে চলার কথা একাধিক বিধিনিষেধও। কিন্তু রবিবার ছবিটা ছিল অন্যরকমই। দেখল আনন্দবাজার।
কোথায় ব্যারিকেড
রবিবার সকাল ন’টা থেকে শিলিগুড়ি শহরের ছ’টি ওয়ার্ডে চালু হয়ে গিয়েছে কন্টেনমেন্ট জ়োন। অর্থাৎ প্রচন্ড কড়াকড়ি থাকার কথা ওই এলাকাগুলিতে। কিন্তু এ দিন দুপুর পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে উঠতে পারেনি প্রশাসন। বর্ধমান রোড বরাবর ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড একদিকে, অন্যদিকে ৪ এবং ৫ নম্বর। বর্ধমান রোড সংলগ্ন খালপাড়ার দিকের অগ্রসেন রোডে ব্যারিকেড, এস পি মুখার্জি রোডে অর্ধেক ব্যারিকেড এবং নেহরু রোডের মুখে বসানো হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দা পাড়ায় ব্যারিকেড বিকেল পর্যন্ত হয়নি। যদিও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবারই কয়েকটি জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছে।
অবাধে যাতায়াত
অন্যান্যবার কন্টেনমেন্ট জ়োন চারদিক থেকে ঘিরে দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার নজরে এল বর্ধমান রোডে দু’পাশে যে ঘোষিত এলাকাগুলি রয়েছে, সেগুলির একদিকে বন্ধ হলেও বাকি সব দিক খোলা। তা দিয়ে দিনভর নবাহন যাচ্ছে, বাসিন্দারা যাতায়াত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফুচকা খেতে
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়েছে সবে। একদিকে ব্যারিকেড থাকা অগ্রসেন রোডের অন্যদিকে মহাত্মা গাঁধী রোড ক্রসিংয়ের দিক থেকে ঢুকছেন ফুচকাওয়ালা। পরপরই ফুচকা খেতে ভিড় জমিয়েছে মানুষজন। ঠিক তার পাশেই আরও একটি ঠেলায় বিক্রি হচ্ছিল শরবত। ওই এলাকায় নজরে এল মিষ্টির দোকানও খোলা। ৮ ও ৯ নম্বরের সীমানায় কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে গাঁধী ময়দানের দিকে খোলা রাখির দোকান। কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকেও আসতে দেখা গেল ওই দোকানে। মহানন্দা পাড়ায় ঢুকতেই কিছু ফুচকার দোকান নজরে এসেছে।
মাইক প্রচার নেই
শনিবার নতুন কন্টেনমেন্ট জ়োন নিয়ে মাইক প্রচার ছিল না বলে অভিযোগ। রবিবারও দেখা যায়নি। পুলিশের আশ্বাস টহলদারি চলছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)