বিশ্বকর্মা পুজো একটু আলাদা ভাবে পালন করলেন বনকর্মী এবং ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতিকে পুজোর মাধ্যমে বিশ্বকর্মা পুজো উদ্যাপন করেলন তাঁরা। ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, ধুপঝোরা, মেদলা ক্যাম্প, টন্ডু ক্যাম্পেও পোষা হাতিদের পুজো করা হয়েছে। সেই পুজোয়া শামিল হয়েছিলেন পর্যটকরাও।
বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত বিটে থাকা ১৯টি কুনকি হাতি এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে থাকা ৩৯টি কুনকি হাতির পুজো করা হচ্ছে। শুক্রবার মেটেলি ব্লকের ধুপঝোরাতে এই পুজো দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরাও। পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপোস করে ছিলেন গ্রামবাসীরা। পুজো দিয়ে তাঁদের প্রার্থনা, হাতির হাত থেকে যেন রক্ষা পায় ফসল।
বসন্ত, ফাল্গুনি, হিলারি, ডায়না, ভোলানাথরা থাকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। সাত সকালেই স্নান করিয়ে সাজানো হয়েছিল তাঁদের। প্রতিটি হাতির গায়ে তাদের নামও লিখে দেওয়া হয়েছে। তার পর আচার মেনে করা হয়েছে পুজো। পুজোর শেষে খাওয়ানোও হয়েছে হাতিদের। এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি পিয়ালি পাল, প্রমীলা পালের মতো পর্যটকরা। তাঁরা বলেছেন, ‘‘আমরা খুবই আনন্দিত। জীবিত হাতির পুজো কখনও দেখিনি। এই পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভাল লাগল।’’
এ নিয়ে ধুপঝোরা বিটের আধিকারিক জীবন বিশ্বকর্মা বলেছেন, ‘‘আমরা প্রতি বছর এই দিনটিতে আমাদের পোষা হাতিদের সাজিয়ে পুজো করে থাকি। বিশ্বকর্মার বাহন হিসাবেই পুজিত হয় হাতি। জলপাইগুড়ি ডিভিশনের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ১৯টি হাতির পুজো দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরাও এতে অংশগ্রহণ করেছেন।’’