সেই গান—‘রাত বাড়ে তো বাত বাড়ে’ যেন দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করছে কোনও কোনও অঞ্চলে। শীতের রাত মানেই গান-বাজনার আসর। সেই অনুষ্ঠানে পাল্লা দিয়ে ব্যবহার হয় সাউন্ড বক্স। কোথাও কোথাও ডিজে বক্সের দাপটে উধাও হয়ে যায় রাতের ঘুম। কোচবিহারের সীমান্ত গ্রাম থেকে শহর এলাকায় যেন একই চিত্র। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “সব থানায় ডিজে ও সাউন্ড বক্স নিয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা সামনে এলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শীত মানেই গান-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসে বহু গ্রামে। দুর্গাপুজোর সময় থেকে ওই আসর শুরু হয়ে যায়। এ বারেও তার তেমন কোনও হেরফের হয়নি। অভিযোগ, শীত পড়া শুরু হতেই গানের আসর জমতে শুরু করেছে। পাটছড়া, হাড়িভাঙা, চিলকিরহাট, চান্দামারি, নিউ কোচবিহার থেকে মাথাভাঙা, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জের বহু জায়গাতেই গানের আসর বসেছে। মাথাভাঙার বাসিন্দা তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আলিজার রহমান বলেন, “নানা অনুষ্ঠানে ডিজে চলে। এ কথা অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই। রাতে ঘুমের খুব সমস্যা হয়।” কলকাতার শিল্পীদের নানা জায়গার অনুষ্ঠানে হাজির করেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য কৃষ্ণকান্ত বর্মন। তিনি বলেন, “আমরা সরকারি বিধি মেনে অনুষ্ঠান করি। সে ব্যাপারে অনুমতি নেওয়া হয়। তবে বহু জায়গায় ডিজে বা জুয়ার গানের আসর বসে। সে ব্যাপারে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।” বাসিন্দাদের দাবি, ওই বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ ওই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।