Siliguri

সন্ধের পরে জায়গা মেলা ভার রেলের কোচ-রেস্তরাঁয়

রেলের একটি পুরনো কোচকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচে রেস্তরাঁর রূপ দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে ঢোকার মুখেই এই রেস্তরাঁ। রোজ দু’শো জনেরও বেশি যাত্রী ও পর্যটক এখানে খাবার খেতে আসছেন।

Advertisement

শুভঙ্কর পাল

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০৮:০৫
Share:

শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনের কোচ-রেস্তরাঁ। নিজস্ব চিত্র

সন্ধে থেকে উপচে পড়া ভিড় রেস্তরাঁয়। যাত্রী থেকে শুরু করে পর্যটক— শিলিগুড়িতে রেলের কোচে সুসজ্জিত রেস্তরাঁয় খেতে আসছেন দলে দলে। সম্প্রতি শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে কোচ-রেস্তরাঁটি চালু করা হয়েছে। দীপাবলির আগে, উদ্বোধন হয় এই রেস্তরাঁর। উদ্বোধনের কয়েক দিনের মধ্যেই ভিড় বাড়ছে।

Advertisement

রেলের একটি পুরনো কোচকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচে রেস্তরাঁর রূপ দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে ঢোকার মুখেই এই রেস্তরাঁ। রোজ দু’শো জনেরও বেশি যাত্রী ও পর্যটক এখানে খাবার খেতে আসছেন। সন্ধের পরে উপচে পড়ছে ভিড়। রেলের আয় বাড়াতেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে এনজেপিতে এই কোচ-রেস্তরাঁ খোলা হয়েছে। এনজেপিতে রোজ কয়েক হাজার যাত্রী ওঠা-নামা করে থাকেন। ভাল খাবারের জন্য স্টেশন থেকে বেরিয়ে তাঁদের হোটেল-রেস্তরাঁয় যেতে হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ-রেস্তরাঁটি চালু হওয়ার পরে, সেখানেই তাঁদের অনেকে খেতে আসছেন।

কোচ-রেস্তরাঁ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মী রূপম সেন বলেন, “সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা অবধি এই রেস্তরাঁ খোলা থাকে। নানা ধরনের খাবার রাখা হয়েছে। প্রায় তিরিশ-চল্লিশ রকমের খাবার। খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে। রোজই ভিড় বাড়ছে।”

Advertisement

এনজেপি-র মতো পাহাড়েওর টয় ট্রেনের স্টেশনগুলিতেও একই ধরনের কোচ-রেস্তরাঁ চালু করার ভাবনা রয়েছে রেলের। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার বলেন, ‘‘তিনধারিয়া, কার্শিয়াং, দার্জিলিঙের মতো বড় স্টেশনগুলিতে পুরনো টয় ট্রেনের কোচে একই ধরনের রেস্তরাঁ চালু করার ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পাহাড়ে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদেরও সুবিধা হবে। পাশাপাশি, রেস্তরাঁর সুবাদে রেলেরও আয় বাড়বে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement