বালুরঘাটের কচিকলা অ্যাকাডেমিতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চমীর ভিড়েই ইঙ্গিত মিলেছিল। ষষ্ঠীর সন্ধ্যা হতেই ভিড় আছড়ে পড়ল গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় পুজো মণ্ডপে মণ্ডপে। আর সেই ভিড়ে করোনা বিধির কার্যত দফারফা অবস্থা। কিছু পুজো উদ্যোক্তা বিধি মানাতে গণ্ডি কাটা বা মাস্ক-স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা রাখলেও দর্শনার্থীদের বেশিরভাগ লোকের মুখেই মাস্ক ছিল না বলে অভিযোগ। আর ষষ্ঠীর এই ভিড় দেখে পুজোর বাকি দিনগুলি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক মহল।
মালদহ
পঞ্চমীর ভিড় জানান দিয়েছিল যে ষষ্ঠীর দিনে কি হতে পারে। সেই সূত্রেই ষষ্ঠীর সন্ধ্যা হতেই মালদহের শান্তি ভারতী পরিষদ, শিবাজী সঙ্ঘ, বালুচর কল্যাণ সমিতি, বেলতলা সর্বজনীন, দিলীপ স্মৃতি সঙ্ঘ, ইউনাইটেড ইয়ং, অনীক সঙ্ঘ, ঘোড়াপীর সর্বজনীনের মত বিগ বাজেটের পুজোগুলিতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ল। এই ভিড়ে শারীরিক দূরত্ব বিধিও উধাও হল। এদিন বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের মুখেই মাস্কের বালাই ছিল না বলে অভিযোগ। বিধি মানাতে প্রশাসন বা পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে শহর জুড়ে সচেতনতা বার্তা প্রচার করা হলেও কড়াকড়ি ছিল না প্রশাসনের।
দক্ষিণ দিনাজপুর
ষষ্ঠীর সন্ধে থেকে মাস্কহীন হয়ে দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ে গঙ্গারামপুরে। তুলনায় বালুরঘাটে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে ভিড় চোখে পড়ে কচিকলা অ্যাকাডেমি, অভিযাত্রী, উত্তমাশা, নব প্রভাত সঙ্ঘের পুজোয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের মহকুমা শহর গঙ্গারামপুরের ইয়ুথ ক্লাব, নাট্য সংসদের পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি ফুটবল ক্লাব, চিত্তরঞ্জন ক্লাবের মত একাধিক মণ্ডপে দূরত্ববিধি না মেনে দর্শনার্থীরা প্রতিমা দেখতে ভিড় করেন বলে অভিযোগ। অনেকে মাস্ক পরে ছিলেন না। পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের অবশ্য দাবি, দর্শনার্থীদের মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়।
উত্তর দিনাজপুর
ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর সর্বজনীন, বিপ্লবী, অমর সুব্রত, শাস্ত্রী সঙ্ঘ, অরবিন্দ স্পোর্টিং, করণদিঘি ব্লক সর্বজনীন, ইটাহারের উল্কা ক্লাব, হেমতাবাদ কালীবাড়ি-সহ ইসলামপুরের বিভিন্ন বিভিন্ন বড় দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়। এরপর রাত যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়ও। করোনা আবহে সেই ভিড়ে অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
তথ্য সহায়তা: জয়ন্ত সেন, অনুপ মোহান্ত, গৌর আচার্য