ICC ODI World Cup 2023

দিনভর জয়ের আশা, দিনের শেষে বিষাদ

সকাল থেকে ছিল জমজমাট আয়োজন। কোচবিহার স্টেডিয়ামে খেলা দেখানোর আয়োজন করেছিল কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্টেডিয়ামের একটি জায়গা ঘেরাও করে নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২০
Share:

হতাশ বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।

সকাল থেকেই উদ্মাদনা চারদিকে। কেউ পরে আছেন ভারতীয় জার্সি, কারও বাইকের সামনে জাতীয় পতাকা। মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে, ‘জিতেগা ভাই জিতেগা , ইন্ডিয়া জিতেগা।’ পাড়ায় পাড়ায় টাঙানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে দিনভর ছিল এমনই উন্মাদনা। তবে দিনের শেষে বদলে গেল সেই ছবি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারত হারতেই বিষাদের ছায়া নেমে এল দুই জেলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।

Advertisement

তবে সকাল থেকে ছিল জমজমাট আয়োজন। কোচবিহার স্টেডিয়ামে খেলা দেখানোর আয়োজন করেছিল কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্টেডিয়ামের একটি জায়গা ঘেরাও করে নেওয়া হয়েছিল। বসানো হয় জায়ান্ট স্ক্রিন। সকাল থেকেই সেখানে ভিড় জমতে শুরু করে। তরুণ-তরুণীরা অনেকে ভারতের জার্সি পরে সেখানে হাজির হয়েছেন। বাবার হাত ধরে সেখানে হাজির হয়েছিল এক খুদেও। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নীলাদ্রি ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশ ভারত জিতবেই। আজ বিরাট কোহলির খেলা দেখতে এসেছি।’’ যদিও খুদের সেই আশা পূরণ না হল না শেষমেশ।

কোচবিহারে জেক ক্রীড়া সংস্থার সচিব সুব্রত দত্ত জানান, ওই স্টেডিয়ামে আইপিএল ফ্যান পার্ক তৈরি করা হয়েছিল। দু’দিনে ৭০ হাজার দর্শক সেখানে হাজির হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক হাজার দর্শক আমাদের মাঠে হাজির হয়েছিলেন। সবাই খেলা উপভোগ করেছেন।’’ কোচবিহার শহরের প্রায় প্রত্যেকটি রাস্তায় বসেছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। দুপুরের পর থেকে রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়। ভিড় ছিল শুধু টেলিভিশনের সামনে। তরুণ সমীর দত্ত, তানিয়া রায়, অঙ্কণ ভট্টাচার্যদের সবাই জার্সি পরে খেলা দেখতে হাজির হয়েছেন। ওঁদের কথায়, ‘‘আজ খুব লড়াই হবে ধরেই নিয়েছিলাম। তাই হয়েছে।’’ যদিও খেলা শেষে হতাশ তানিয়ারা বললেন, ‘‘আর হল না। কোথায় একটা তাল কেটে গেল। দিনভর দেশের জন্য জয়ধ্বনি করেছি। শেষে হতাশ হলাম। তবে এখানেই শেষ নয়, এক দিন জিতব আমরা।’’

Advertisement

শনিবার রাতের পাশাপাশি রবিবার সকাল থেকেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল ঘিরে আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উন্মাদনা ছিল। আলিপুরদুয়ার শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় বাইক র‌্যালির পাশাপাশি ক্রিকেট ভক্তদের জমায়েত চোখে পড়ে গোটা দিন। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজার চৌপতি এলাকায় বিভিন্ন ক্লাব সেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে প্রজেক্টর, এলইডি টিভি, জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়। আলিপুরদুয়ার শহরের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের শামুকতলা, ডাঙী, কার্জিপাড়া কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি, বারবিশা-সহ ফালাকাটা, কালচিনি একাধিক ব্লকে জাতীয় পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন এলাকা। এ ছাড়াও তুলির টানে সাজিয়ে তোলা হয় রাস্তা।

তবে এ দিন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়া জয় হবে বুঝতে পেরে আলিপুরদুয়ার শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ক্লাবের সামনে প্রজেক্টর এবং টিভিতে খেলা দেখার জায়গাগুলি ফাঁকা হতে শুরু করে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারে ম্লান হয়ে যায় দিনভর উৎসবের ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement