বন্ধ: হিলি জাতীয় সড়কের ধারে। ছবি: অমিত মোহান্ত
দোকান বন্ধ। কিন্তু ইতিউতি দাঁড়িয়ে কয়েকজন। মোটরবাইক নিয়ে গিয়ে দাঁড়াতেই এগিয়ে আসে তারা। খানিকটা দূর থেকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়, ‘কোন ব্র্যান্ড’। উত্তর পেয়েই হাজির হয় একজন। পিঠের ব্যাগ থেকে বের হয়ে যায় সেই ব্র্যান্ড। অবশ্যই তার আগে টাকা তুলে দিতে হয়েছে তাদের হাতে।
জাতীয় সড়কের ধারে লাইন্সেসপ্রাপ্ত দোকান বন্ধ হলেও চোরা পথে মদ বিক্রি রমরমিয়ে চলছে কোচবিহারে। অভিযোগ, ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে ব্যাগ। তাতে রাখা হরেক রকম ব্র্যান্ডের মদ। চাহিদা মতো সেই মদ নিয়ে হাজির হচ্ছে তারা। শুধু তাই নয়, ফোনেও মিলছে মদ। দাম একটু বেশি হলেও পছন্দমতো মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নিমেষেই। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “বেআইনি মদের বিরুদ্ধে টানা অভিযান চালানো হচ্ছে। কোথাও অভিযোগ পেলেই অভিযান চালানো হবে।”
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের পাশে জেলায় সাতটি দোকান রয়েছে। সেগুলি পুন্ডিবাড়ি থেকে তুফানগঞ্জের রাস্তায় যেমন রয়েছে তেমনই নিশিগঞ্জ, চ্যাংরাবান্ধা এলাকাতেও রয়েছে। এর বাইরে ওই রাস্তার ধারে ধাবা, পানের দোকান মিলিয়ে আরও কুড়িটি জায়গায় বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয় বলে অভিযোগ।