ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন বিভাগে রোগীদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়ে রোগীদের মেঝেতে রাখা হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী ভর্তির সংখ্যা স্বাভাবিক। রোগীদের রক্তের নমুনাও নেওয়া হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক আছে। আক্রান্তদের রক্তের নমুনা নেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও ডেঙ্গির সন্ধান মেলেনি।’’
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে রবিবার পর্যন্ত ভর্তি ছিল ৮৮ জন। এরমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি জ্বরে আক্রান্ত। একই অবস্থা মহিলা মেডিসিন বিভাগেও। বিভাগে জায়গা না হওয়ায় রোগীদের মেঝে, করিডরে পর্যন্ত রাখতে হচ্ছে। করিডরে শয্যা পেতে রোগীরা শুয়ে থাকার ফলে যাতায়াতেও প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে।
শিলিগুড়ির বাইপাস এলাকার বাসিন্দা সরোজ ঘোষ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকালেই ভর্তি হয়েছেন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। তাঁর মেয়ে সঞ্জনাদেবী বলেন, ‘‘শনিবার রাত থেকেই বাবার জ্বর। চারদিকে ডেঙ্গি যেভাবে হচ্ছে তাতে বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নিইনি।’’ করিডরেই সরোজবাবুকে রাখতে বাধ্য হয়েছেন তাঁর বাড়ির লোকজন। একই অবস্থা আশুতোষ বর্মণেরও। তাঁরও শয্যা জোটেনি। হাসপাতালের করিডরে শুয়ে তিনি বলেন, ‘‘পরশু রাতে জ্বর এসেছিল। চিকিৎসকরা ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’’ দু’জনেরই রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
শিলিগুড়ি শহরে এর আগেও ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। গত বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছিলেন। মাসখানেক আগেও স্টেশন ফিডার রোডে চিকনগুনিয়ার প্রকোপ হয়েছিল। এরপরই শহরে জ্বর নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। হাসপাতালে প্রতিদিন শ’খানেক বাসিন্দা জ্বর নিয়ে আসছেন। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এখন ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ থাকে। ভয়ের কিছু নেই।’’