প্রতীকী ছবি।
রায়গঞ্জ মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতের নাম জয়নাল আবেদিন। ৪৭ বছর বয়সি জয়নালের বাড়ি ডালখোলা থানার বাজারগাঁও এলাকায়। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু’জন রোগীর মৃত্যু হল। তবে দু’জনের কেউই করোনা-আক্রান্ত ছিলেন না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
হাসপাতালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায়ের দাবি, জয়নালের লালারসের নমুনা ১৮ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই দিন রাতেই সেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে আসে। তা নেগেটিভ ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যার কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১৭ এপ্রিল বাড়িতে জয়নালের প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় পরিবারের লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়।
প্রিয়ঙ্করের কথায়, ‘‘উনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তাই তাঁর মৃত্যু ঘিরে বাসিন্দাদের আতঙ্ক বা গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ রবিবার রাতেই হাসপাতালের তরফে পরিবারের লোকেদের হাতে জয়নালের মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ঝুলন সরকার নামে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি ইটাহার থানার সান্ধিয়া এলাকায়। প্রিয়ঙ্করের বক্তব্য, সেই দিনই গভীর রাতে জরুরি ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির লালরস পরীক্ষার রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে আসে। রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। ফুসফুসের সমস্যাতেই তিনি মারা যান। পরের দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃতদেহ পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেন।