ঝোলে মাংসের টুকরোর বদলে রয়েছে পকোড়া। ফয়েলের প্যাকেট খুলে ‘চিকেন কারি’র এমন দশা দেখে খাবার বদলে দিতে বলেছিলেন প্রতীম রায়চৌধুরী। তার বদলে যে প্যাকেট পেয়েছিলেন তাতে পকোড়ার বদলে ছিল চিলি চিকেনের দু’টি টুকরো। বুধবার দুপুরে ডিব্রুগড় থেকে নিউ দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনে থামার পরে এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন প্রতীমবাবু এবং তাঁর সহযাত্রীরা।
কারও অভিযোগ, দুপুরের খাবারে দেওয়া হয়েছিল ঘেমে যাওয়া ভাত। রাতের নিরামিষ খাবারে দেওয়া সব্জিতে নুন-মশলার কোনও বালাই ছিল না। রেলের টিকিট পরীক্ষকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন বি-৯ কামরার যাত্রীরা।
প্রতীমবাবু গুয়াহাটি থেকে এ দিন ভোরে ট্রেনে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে জানলাম মাংস ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে ভেজে রাখা পকোড়া ঝোলে দেওয়া হয়েছিল। ভয়ঙ্কর ব্যাপার।’’ একই কামরায় থাকা গুয়াহাটির বাসিন্দা সাগর সিংহ বলেন, ‘‘খিদের চোটে তাই খেতে হল। এখন পেটে ব্যাথা করছে।’’
বি ১১ কামরায় বিপত্তি নিরামিষ খাবার নিয়ে। মঙ্গলবার সন্ধেয় ডিব্রুগর থেকে ট্রেনে চেপেছেন রাকেশ কুমার। তাঁর কথায়, ‘‘বাসি মাংস দিতে পারে এই আশঙ্কায় নিরামিষ খাবার চেয়েছিলাম।’’ সব্জি দিয়ে নবরত্ন মুখে দিয়ে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি। কারণ নুন,মশালা ছিল না।
অভিযোগ পৌঁছেছে এনজেপি স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও। যাত্রীদের অভিযোগ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জোনাল সদর মালিগাঁওতে। যে সংস্থা ডিব্রুগর-গুয়াহাটি রাজধানীর ক্যাটারিংয়ের দায়িত্বে, তাদের শো-কজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দাবি। এনজেপির স্টেশন ডিরেক্টর পার্থসারথী শীল বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে তার খোঁজখবর চলছে।’’