ছবি: সংগৃহীত
ট্রেনের ‘স্লিপার’ কামরায় ঘুমিয়ে থাকার সময় কানে পোকা ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক যাত্রী। সোমবার গভীর রাতে দার্জিলিং মেলের এস-৬ কামরার ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ ওই যাত্রী বলতে থাকেন তাঁর কানে কিছু একটা ঢুকেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন তিনি। তা শুনে তড়িঘড়ি এগিয়ে আসেন সহযাত্রীরা। কয়েকজন জানান, ওই যাত্রীর কান থেকে রক্ত বেরতে থাকে। তা দেখে ঘাবড়ে যান অনেকেই। তখনই কিছু যাত্রী টিটি’র কাছে গিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকেও অনুরোধ করেন। অভিযোগ, কেউই কিছু করতে পারবেন না বলে জানান। তখন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা চেন টানলে ট্রেন আজিমগঞ্জ স্টেশনে দাঁড়ায়। স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসকের দাবিতে। স্টেশন মাস্টার খবর দিলেও চিকিৎসক আসছেন না দেখে মাত্রা ছাড়ায় ক্ষোভ।
ততক্ষণে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে আনা হয়েছে অসুস্থ যাত্রীকে। সেখানেই ছটফট করছিলেন তিনি। যাত্রীরা কেউ ইন্টারনেট খুলে চিকিৎসার উপায় খোঁজ করছেন। তারমধ্যেই একজন পরামর্শ দেন কানে জল দিতে। জল দিলেও কাজ হয়নি। তারপরে একজন নারকেল তেল দিতে বলেন। তেল দেওয়ার পরেই কিছুটা সুস্থ বোধ করেন ওই যাত্রী। তখন এক যাত্রী চিমটে দিয়ে কানের ভিতর থেকে একটি পোকা বের করে আনেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে।
ওই ব্যক্তির সহযাত্রী ছিলেন শিলিগুড়ির শিক্ষিকা স্বাতী মুখোপাধ্যায় আর তাঁর স্বামী শ্রীদীপ মুখোপাধ্যায়। স্বাতী বলেন, ‘‘দার্জিলিং মেলের মতো ট্রেনে কেউ আচমকা অসুস্থ হলে একটা চিকিৎসক পাওয়া যাবে না? ওই ব্যক্তির প্রাণ সংশয় হতে পারত। তিনি তো পাগলের মতো চিৎকার করছিলেন আমাকে বাঁচান।’’ কামরায় আরশোলা, ইঁদুরের উৎপাত নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
আজিমগঞ্জ স্টেশনের জিআরপি ওসি চিন্তাহরণ সিংহ বলেন, ‘‘চিকিৎসক আসতে কিছুটা দেরি হয়। ততক্ষণে যাত্রীদের একজন চিমটে দিয়ে পোকা বের করে দেন।’’