ফাইল চিত্র।
বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম জড়িয়ে যাওয়া এবং সেই সূত্রে কয়েক দফা সিবিআই হাজিরার পর প্রথম বার দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। বুধবার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে একটি দলীয় বৈঠক শেষে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ বলেন, ‘‘বিরোধীরা বিরোধিতা করার জন্যই এ সব বলছে। আমার পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ উঠছে, তা সব মিথ্যে।’’
গত মে মাসে রাজ্যে এসএসসি-কাণ্ডে নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই শিক্ষক নিয়ে অনিয়মের মামলায় জড়িয়ে যায় পরেশ-কন্যা অঙ্কিতার নাম। ওই মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই পরেশকে তলব করে সিবিআই। কলকাতায় থেকে বেশ কয়েক বার সিবিআই হাজিরার মুখোমুখিও হয়েছিলেন মন্ত্রী। তার পর গত ২৪ মে নিজের জেলায় ফিরে আসেন পরেশ। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা না হলেও দল তাঁর পাশেই রয়েছে।
কোচবিহারে ফিরে পরেশ জানিয়েছিলেন, আবার আগের মতো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে ঢোকার পর ছ’দিন কার্যত ‘গৃহবন্দি’ই ছিলেন। এর পর বুধবার পার্থপ্রতিমের বাড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও শাখা সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন তিনি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হয়ে পরেশ বলেন, ‘‘আত্মীয়দের চাকরি দেওয়া নিয়ে যা যা অভিযোগ উঠেছে, সবই মিথ্যে।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধিতা দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে দাবি করেন, পরিবারের ২৫ জন সদস্যকে শিক্ষকতার চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। ওই ২৫ জনের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। বুধবার সেই প্রসঙ্গ উঠতেই পরেশ বলেন, ‘‘বাজে কথা। বিয়ের আগেই আমার স্ত্রীর চাকরি হয়েছিল। কিছু দিনের মধ্যে অবসর নেবেন তিনি। বিরোধীরা মিথ্যে প্রচার করছে।’’
অঙ্কিতার প্রসঙ্গ উঠলে অবশ্য মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’’