শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে ডাবগ্রাম-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমির অবৈধ কারবারিদের দাপট নিয়ে সরব হলেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা রাজ্যের শাসক দলের নেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার তিনি সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় রমরমা কারবার চালাচ্ছে জমি মাফিয়ারা। জালনথি তৈরি করে জমি কেনা-বেচা, গায়ের জোরে কারও জমি দখল করছে ওই কারবারিরা। পুলিশ, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও সহযোগিতা মিলছে না বলে অভিযোগ।
এই এলাকা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে। গৌতমবাবুকেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবৈধ জমির কারবার কখনই বরদাস্ত করা হবে না। আমার কাছে এ ধরনের যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন কোনও অভিযোগ থাকলে সে সব ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রধানের অভিযোগ, ডাবগ্রাম-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তেলিপাড়ায় সুভাষ ভদ্র নামে এক ব্যাক্তি তার জমিতে সীমানা পাঁচিল দিতে এবং কুয়ো খুঁড়তে গেলে বাধা দেয় অবৈধ জমির কারবারিরা। গত শনিবার তারা আশিঘর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করে।
পুলিশ এই অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও মূল কারবারি অধরাই। সুধাদেবী জানান, গত মার্চ মাসে অরূপ কুমার বসু নামে এক শিক্ষকের জমিও এ ভাবে দখল করা হয়। পুলিশ প্রশাসনকে বলেও কাজ হচ্ছিল না। পরে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে তাঁর সহায়তায় তাঁকে জমি দখল মুক্ত করতে হয়। ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী, আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করে জমির নকল দলিল তৈরি করছে জমি মাফিয়ারা।
পর্যটনমন্ত্রী জানান, কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই শিক্ষকের জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ মেলার পর পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। ডাবগ্রাম-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা রাজগঞ্জ ব্লকের অধীনে। বিডিও প্রেমা শেরপা জানান, তাঁর কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘অবৈধ জমির কারবার, অন্যের জমি দখলের চেষ্টা নিয়ে সে সমস্ত অভিযোগ এসেছে তা খতিয়ে দেখে ভূমি রাজস্ব দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট পেলেই সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’