Nature Lesson Camp

পার্বতীর প্রেরণায় প্রকৃতি-পাঠ

শুক্রবার মূর্তি নদীর পাড়ে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের নিজস্ব এলাকায় দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রকৃতি পাঠ শিবির শুরু হয়। এ বছর এই শিবিরের ২২তম বর্ষ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৭
Share:

মূর্তির পাড়ে দৃষ্টিহীনদের শিবিরে পার্বতী বড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।

‘‘অসম আমার বাড়ি হলেও, বাংলার ডুয়ার্সকে কখনই বাড়ি ছাড়া অন্য কিছু মনে হয়নি।’’ ডুয়ার্সের মূর্তিতে ‘ন্যাফ’-এর (নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন)-এর প্রকৃতিপাঠ শিবিরে যোগ দিয়ে ডুয়ার্সের প্রতি তাঁর এমনই ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা জানালেন সদ্য পদ্মশ্রী পাওয়া হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বড়ুয়া।

Advertisement

শুক্রবার মূর্তি নদীর পাড়ে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের নিজস্ব এলাকায় দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রকৃতি পাঠ শিবির শুরু হয়। এ বছর এই শিবিরের ২২তম বর্ষ। উদ্যোক্তারা জানান, ন্যাফ-এর বিভিন্ন শিবিরে এর আগেও পার্বতী বড়ুয়া যোগ দিয়েছিলেন। তবে এ বার পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে ঘিরে উৎসাহ ছিল। দৃষ্টিহীন ছেলেমেয়েদের মাঝে এ দিন পার্বতী থাকলেন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ সাধারণ মেজাজে। তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় সম্মান অবশ্যই আমার প্রেরণা। কিন্তু তাই বলে নিজেকে তো বদলে ফেলতে পারি না।’’

‘ন্যাফ’-এর মুখপাত্র অনিমেষ বসু জানান, পার্বতীর সঙ্গে উত্তরের যোগাযোগ বহু দিনের। বাবার সূত্রে গরুমারা জঙ্গল তাঁর বহু দিনের চেনা। তাঁর বাবা বিখ্যাত হাতি বিশেষজ্ঞ প্রকৃতীশচন্দ্র বড়ুয়াকে উত্তরের অনেকেই ‘লালজি’ নামে চিনতেন। গরুমারা-সহ উত্তরের বিভিন্ন জঙ্গলেই বহু বার এসেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকে বাবার হাত ধরে এই সব জঙ্গলে ঘুরে বেরিয়েছেন পার্বতীও। ডুয়ার্স তাই তাঁর কাছে ঘর-বাড়ির মতোই।

Advertisement

এই শিবিরে মোট ৬০ জন দৃষ্টিহীন কিশোর-কিশোরী যোগ দিয়েছে। যাদের স্পর্শ, ঘ্রাণ, শ্রবণ দিয়ে প্রকৃতি চেনানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, কুনকি হাতি নিয়ে এসে তাদের হাতি চেনানোর কাজও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সব কিছুর উপরে থাকছে পার্বতী বড়ুয়ার বিশেষ নির্দেশ ও প্রশিক্ষণ। এ দিন পার্বতীর সঙ্গে ছিলেন ডুয়ার্সের পদ্মশ্রী প্রাপক সমাজসেবী করিমুল হকও। পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের পক্ষ থেকে ছিলেন মুখ্য বনপাল (উত্তর) জেভি ভাস্কর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement