অপেক্ষা: জলপাইগুড়ি স্টেশনে কয়েক দিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ট্রেনটি। ছবি: সন্দীপ পাল।
যাওয়া-আসা নেই কোথাও। শুধু স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। জলপাইগুড়ি স্টেশনে প্রায় দশ দিন ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা আস্ত নতুন একটি ট্রেন কৌতূহলের বস্তু হয়ে উঠেছে এলাকার লোকজনের কাছে। গত বছর ঠিক একইরকম ভাবে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছিল কিসান রেল। পরে সেটির যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকার কিছু দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
এনজেপি স্টেশন লাগোয়া ট্রেন শেডে জায়গা নেই বলেই রেল সূত্রের দাবি। তাই নতুন ট্রেন হিসেবে চালানোর আগে ওই রেকটিকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে রেখে দেওয়া হয়েছে বলেই রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। আধিকারিকেরা জানালেন, এনজেপি স্টেশন লাগোয়া শেডে জায়গার অভাব। তাই এলএইচবি শ্রেণির ওই রেকটিকে রাখা হয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় ট্রেনটি রয়েছে তা অপেক্ষাকৃত অসংরক্ষিত এলাকা বলেই রেল সূত্রে দাবি। এর আগে গত বছর কিসান রেল ওই এলাকায় দাঁড়িয়েছিল। পরে সেটি থেকে নানা যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। রেল সূত্রে দাবি, এনজেপি চত্বরে রেলের নজরদারি অনেক বেশি থাকে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, ট্রেনটি নতুন ট্রেন হিসেবে চালানোর কথা। ট্রেনটির কিছু কামরা অন্যান্য ট্রেনের কামরার সঙ্গেও জুড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে ট্রেনটি রাখা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু যন্ত্রাংশ চুরির সম্ভাবনা কম। কারণ, ট্রেন থেকে চুরি করা সামগ্রী বাড়িতে কোথাও ব্যবহার করা যায় না।’’