এক রাতে পেঁয়াজের দাম আরও ৩০ টাকা বেড়ে ১৫০

বসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের আমদানি এ বারে অনেক কম। বাইরে থেকেই অনেক বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৪১
Share:

এক রাতেই পেঁয়াজের দাম বাড়ল আরও ৩০ টাকা। সব মিলিয়ে পেঁয়াজ পৌঁছল কেজি প্রতি ১৫০ টাকায়। ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে ঘুঘুমারি বাজার, সব জায়গাতেই প্রায় একই অবস্থা। ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে দাম। কেন পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা খোঁজ করার কেউ নেই।

Advertisement

গত বছর বা তার আগেও আনাজের দাম বাড়তে শুরু করলে জেলা’র প্রশাসনের টাস্ক ফোর্স ময়দানে নেমে বাজারে বাজারে ঘুরেছে। এমনকি জেলা প্রশাসনের কর্তাদেরও বাজারে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, এবারে প্রশাসনের কাউকেই বাজারে দেখা যায়নি। সেই সুযোগে কালোবাজারি হওয়ার আশঙ্কায় করছে অনেকে। কোচবিহারের জেলাশাসককে ফোন ধরেননি। এসএমএস-এরও উত্তর দেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, গোটা দেশেই একই অবস্থা চলছে। তার পরেও তাঁরা নজরদারি চালাচ্ছেন।

এ বারে বেশ কিছু দিন ধরেই আনাজের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। শীতকালীন আনাজ ফুলকপি থেকে বাঁধাকপি, লঙ্কা থেকে শুরু বেগুন, লাউ, সব কিছুই ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে আনাজের আমদানি বাড়তে থাকায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের আমদানি এ বারে অনেক কম। বাইরে থেকেই অনেক বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তার উপরে দাম বেড়ে যাওয়ার জন্যে বিক্রিও অনেকটা কমতে শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কিছু করণীয় নেই। জেলা ব্যবসায়ী সমিতি অবশ্য জানিয়েছে, খুচরো বাজারে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যেই থাকার কথা। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, “দাম ১৫০ টাকা কেজি হওয়ার কথা নেই। পাইকারি বাজারে ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হয়েছে। তার পরেও কোথাও যদি তা হয় আমরা দেখব।” দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তথা ফোসিনের সদস্য রানা গোস্বামী দাবি করেন, ‘‘বাইরের থেকে আসা পেঁয়াজের উপরেই বাজার নির্ভর করে। বর্তমানে অবশ্য স্থানীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে।’’ তিনি বলেন, “কেউ সুযোগ নিতে পারেন। সে জন্যে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে পেঁয়াজের কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। গোটা দেশে একই অবস্থা। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কিছুটা কমতে শুরু করবে।”

গ্রাহকরা অবশ্য ওই অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ। অনেকেই বাজার থেকেই পেঁয়াজ না কিনেই বাড়ি ফিরছেন। বাড়িতে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement