প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কংগ্রেস কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে। তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা বলে জানিয়েছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলার দিকে ভোটগ্রহণের সময় তৃণমূল এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে অশান্তি বাধে গোয়ালপোখরের জাগিরবস্তি এলাকায়। সেই অশান্তি গড়ায় সংঘর্ষে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল বুথ দখলের চেষ্টা করছিল। তাতে বাধা দেওয়াতেই বাধে সংঘর্ষ। এমনটাই দাবি হাতশিবিরের নেতাদের। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ওই কংগ্রেস কর্মীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম মহম্মদ জামিলুদ্দিন। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। তাঁর রক্তাক্ত দেহ ফেলে রাখা হয় জাগিরবস্তি বাজার এলাকায়। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
শনিবারই উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর-২ ব্লকের বিদ্যানন্দনপুর পঞ্চায়েতের ভেবরার ১০ নম্বর বুথের বাইরে মহম্মদ শাহেনশা নামে এক তৃণমূল প্রার্থীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে উত্তর দিনাজপুরে। ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটের দিনের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তার মধ্যে উত্তর দিনাজপুরে নিহত দুই।