নেতৃত্বে: সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার।
দার্জিলিং জেলায় সিপিএমের পাহাড়ের ভরসা সেই পুরনো নেতারাই! রবিবার ও সোমবার শিলিগুড়িতে দলের জেলা সম্মেলনে নতুন জেলা কমিটির ঘোষণার পর সেটাই সামনে এল।
সোমবার সন্ধ্যায় জীবেশ সরকারকে আবার জেলা সম্পাদক নির্বাচিত করে ৪৪ জনের কমিটি ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন আমন্ত্রিত সদস্য। প্রবীণ বাম নেতা সাঙ্গোপাল লেপচা অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০১২ সাল নাগাদ জীবেশবাবু অস্থায়ীভাবে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। তিন বছর আগে প্রথমবার ষাঠের কোঠায় থাকায় জীবেশবাবু স্থায়ী দায়িত্ব পান। এ বার জীবেশবাবু ছাড়া আর কোনও নামই জেলা সম্মেলনে ওঠেনি বলে সিপিএম সূত্রের খবর।
দলীয় সূত্রের খবর, সম্মেলনে পাহাড়ের সংগঠনের অবস্থায় আগের মত আর নেই জানানো হয়েছে। কালিম্পঙে জেলা কমিটির বদলে এখনও এরিয়া কমিটি হিসাবেই কাজ করেছে। তেমনই, কমিটিতে দার্জিলিঙের কৃষ্ণবাহাদুর ওয়াতার বা কালিম্পঙের তারা সুনদাস ছাড়া পাহাড়ে উল্লেখযোগ্য নেতানেত্রী নেই। দলের নতুন জেলা সম্পাদক, বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য ছাড়া ওই দুই নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠকই পাহাড়ের কাজকর্ম দেখভাল করেন। রয়েছেন পুরানো নেত্রী রেজিনা চামলিংও। বাকি মণি থাপা, রাধা ছেত্রী, বিনা সুব্বার মত নেপালি ভাষাভাষী অনেকেই কমিটিতে থাকলেও তারা অধিকাংশই সমতলে থাকেন।
এবার নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরার কথা বলে যুব নেতা সৌরভ দাস এবং সৌরাশিস রায়কে পাকাপাকিভাবে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তরুণ নেতা হিসাবে এবারও রাখা হয়েছে মেয়র পারিষদ সদস্য জয় চক্রবর্তী, শঙ্কর ঘোষদেরও।
নতুন জেলা সম্পাদক জীবেশবাবু বলেন, ‘‘পাহাড়ে আমাদের শক্তি কম, তা আগেই আমরা বলেছি। তবে অনেকেই আস্তে আস্তে আমাদের পাশে আসছেন। আমরা নিজেদের সাধ্যমতো সেখানে কাজকর্ম, আন্দোলনের রূপরেখা নেব। শিলিগুড়িতে নতুন প্রজন্মকেও আমরা সামনের সারিতে এনেছি।’’
গত রবিবার শহরের মিত্র সম্মিলনী হলঘরে তিন বছর পর জেলা সম্মেলন হল। এর আগে বহুবার বিনোদন পার্ক, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ হল বা নিদেনপক্ষে বড় স্কুল কলেজে জেলা সম্মেলন হলেও এ বার শহরের পুরানো হলেই সম্মেলন হন। পার্টি অফিসের তলায় পার্কিং এরিয়াতে প্যান্ডেল করে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।