পরীক্ষা কেন্দ্রে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে। ছবি - সন্দীপ পাল।
এ বছর উত্তরবঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে নিয়মিত, কম্পার্টমেন্টাল— সব মিলিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৫১ জন। তার মধ্যে ছাত্র ৭৯ হাজার ৮৫ জন। ছাত্রী ১ লক্ষ ৯০৬৬ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থী মোট ১ লক্ষ ৭১ বাজার ৪৩০ জন। তার মধ্যে ছাত্রী ৯৫ হাজার ৯৩১ জন, ছাত্র ৭৫ হাজার ৪৯৯ জন। অর্থাৎ ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী সংখ্যা বেশি ২০ হাজার ৪৩২ জন। যদিও শেষ সময়ে অ্যাডমিট কার্ড না-পাওয়া কিছু ছাত্রছাত্রীর নাম সংযোজিত হচ্ছে।
শিলিগুড়ির শিবমন্দিরে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার আধিকারিক প্রণব ঘোষ বুধবার বলেন, ‘‘ছাত্রী সংখ্যা এ বছর বেড়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা রইল। তাদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা পর্ষদ, প্রশাসন সকল দিক থেকেই করা হচ্ছে।’’ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর দার্জিলিং পাহাড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১৮৮৭ জন, ছাত্রী ২১৬০ জন। কালিম্পঙে পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১৪৪০ জন, ছাত্রী ১৬৭৯ জন। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় ছাত্র ৫৪১৯ জন, ছাত্রী ৭৬১৮ জন। জলপাইগুড়ি জেলায় ছাত্র ১০ হাজার ৬৫৪ জন, ছাত্রী ১৪ হাজার ৭৮৯ জন। আলিপুরদুয়ারে ছাত্র ৭১৮৯ জন, ছাত্রী ৯৩৬৭ জন। কোচবিহারে ১৪ হাজার ০৭১ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ১৭ হাজার ৮৮৩ জন। উত্তর দিনাজপুরে ছাত্র ১১ হাজার ৭২৩ জন এবং ছাত্রী ২০ হাজার ৯৯৯ জন। দক্ষিণ দিনাজপুরে ৭১৬৯ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ৮৯৫৭ জন। মালদহে ছাত্র ১৯ হাজার ৫৩৩ জন এবং ছাত্রী ২৫ হাজার ৬১৪ জন। অর্থাৎ সব জেলাতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি। উত্তর দিনাজপুরে তা অনেকটাই বেশি।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭৩টি। প্রশ্নপত্র বিলি করা হবে ৭৮টি কেন্দ্র থেকে। সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। বেলা ৯টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষা শুরু। তার আগে সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রে ৮টা থেকেই শিক্ষক, কর্মীদের পৌঁছতে বলা হয়েছে। আগের মতোই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর চার পাশে অন্তত ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও প্রতিলিপি করার দোকান খোলা রাখা যাবে না। কোনও ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র রাখা হচ্ছে না। তবে সব কেন্দ্রেই ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা থাকছে। পরীক্ষার তিন দিন আগে থেকে অর্থাৎ বুধবার থেকেই মাইক বাজিয়ে সভা সমাবেশ করা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল বা কোনও ‘ইলেকট্রনিক’ সরঞ্জাম থাকবে না।
এ ছাড়াও, বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে দুর্গম পথে বা প্রত্যন্ত এলাকায় পড়ুয়াদের নিরাপদে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এবং পরীক্ষার পর ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের তরফে বাস বা গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর থেকেও বেশ কিছু রুটে বাস চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।