প্রতীকী ছবি
বকেয়া পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই ‘হাফ সেঞ্চুরি’ পার করল দক্ষিণ দিনাজপুর।
পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার মালদহ মেডিক্যাল থেকে লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই জেলায় নতুন করে একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশু এবং পাঁচ মহিলাও রয়েছেন। আক্রান্তেরা কুশমণ্ডি, কুমারগঞ্জ ও বংশীহারি ব্লকের বাসিন্দা বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর এ দিন পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ জন বলে দাবি করেছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগকে হোম কোয়রান্টিনে রাখার সিদ্ধান্তে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন স্বাস্থ্য দফতর আরও ৮০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, বংশীহারি ব্লকের চিরাগিপাড়া এলাকার এক মহিলা ও তাঁর ৩ বছরের শিশু করোনায় আক্রান্ত। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র এক জনকে বালুরঘাটের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বংশীহারির রসিদপুরের আক্রান্ত ওই শ্রমিকের বাড়িতে ঘর মাত্র একটি। তাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মুখ্য স্বাস্হ্য আধিকারিক জানান।
প্রশাসনিক একটি সূত্রে খবর, এ দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঠানো ১৬ জনের রিপোর্টে অধিকাংশেরই জ্বর-সর্দির মতো করোনার উপসর্গ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জেলাবাসীর একাংশের প্রশ্ন, এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের কোভিড হাসপাতাল বা সরকারি কোনও কেন্দ্রে না রেখে কেন হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে? এতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বংশীহারির চিরাগিপাড়ার শ্রমিক দম্পতি তিন বছরের শিশুপু্ত্রকে নিয়ে হরিয়ানা থেকে ফেরেন। তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ৫ জুন মালদহে পাঠানো হয়েছিল।