Online Education

স্মার্টফোন নেই সবার, পাঠ্যক্রম নিয়ে চিন্তা বাড়ছেই

লকডাউনে গত তিন মাস স্কুল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ বেড়েছে।

Advertisement

গৌর আচার্য

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৭:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি

স্কুলের প্রায় ৬৫ শতাংশ পড়ুয়া দুঃস্থ পরিবারের। অনেকের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। স্মার্টফোন তো দূর। সেই কারণে তাদের এখনও অনলাইন ক্লাসে সামিল করা যায়নি। দাবি রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী পঞ্চায়েতের হাতিয়া হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

লকডাউনে গত তিন মাস স্কুল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ বেড়েছে। শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কথা। কিন্তু স্মার্টফোনের অভাবে ওই দুই শ্রেণির বেশিরভাগ পড়ুয়া এখনও পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস করতে না পারায়, তাদের পাঠ্যক্রম শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম সিংহ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাংশ মঙ্গলবার থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের চলতি শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

ওই স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১৭০০ পড়ুয়া রয়েছে। তাদের মধ্যে দশম শ্রেণিতে পড়ে ২২৩ জন, দ্বাদশে ১৭৪। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের প্রায় ১১০০ পড়ুয়া দুঃস্থ পরিবারের। উন্নত মানের স্মার্টফোন না থাকায় তারা অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। আর তাতে তারা পিছিয়ে পড়ছে অনেকটাই, কারণ সবার বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ সমান নয়,। গৌতমের কথায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে এখনও পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হওয়ায় বর্তমানে স্কুলে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া নেই। স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির যে সব পড়ুয়া স্মার্টফোনের অভাবে অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না ও যারা গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে পারে না, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে তাদের পাঠ্যক্রম শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে।

ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সান্ত্বনা দাস বলে, বাবা মৎস্যজীবী। সংসারে অনটন। স্মার্টফোন আসবে কী করে। গৃহশিক্ষকও নেই। মাধ্যমিকের আগে কী করে পাঠ্যক্রম শেষ হবে জানি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement