উত্তর দিনারপুর জেলা পরিষদ। —ছবি : সংগৃহীত
নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হওয়ার বছর দুয়েক পরেও উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশির ভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতে সংসদভিত্তিক ‘গ্রামীণ স্বাস্থ্যবিধান ও পুষ্টি কমিটি’ তৈরি হয়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরে ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটিতে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি গড়া হলেও বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতে তা হয়নি। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর পঞ্চায়েতগুলোকে দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, গঠিত কমিটি পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের প্রচার, প্রয়োজনে নলকূপ ও কুয়োর চাতাল মেরামত করবে। এ সব কাজ করার জন্য ‘জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্যমিশন প্রকল্প’ থেকে কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বছরে ১০ হাজার টাকা। বোর্ড গঠনের পরে দু’বছর হতে চলেছে, কিন্তু জেলায় এই প্রকল্পের কাজই শুরু হয়নি। কাজ শুরু না হওয়ায় সেই টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বেশির ভাগ সংসদ। যদিও এ বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পালের দাবি, ‘‘অধিকাংশ সংসদেই কমিটি গঠনের কাজ শেষ। জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোকে কমিটি দ্রুত গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্যমিশন প্রকল্পের শর্তই ছিল প্রতিটি সংসদে ‘গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য বিধান ও পুষ্টি কমিটি’ গঠন করতে হবে। তবেই প্রকল্পে টাকা মিলবে। কী ভাবে কমিটি গঠন করতে হবে তাও পঞ্চায়েতগুলিকে বলে দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি হবেন ওই সংসদের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। সচিব হবেন ওই পঞ্চায়েত এলাকায় যে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এএনএম। আহ্বায়ক হবেন ওই সংসদের আশাকর্মী। এ ছাড়া কমিটির সদস্য করার কথা বলা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, নির্মল ভারত অভিযানের সঙ্গে যুক্ত স্বচ্ছতা দূত, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েতের কর্মী, এলাকার দু’জন মহিলা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্যের কাজে নিযুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য।
কমিটি যাতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারে সে জন্য সংসদের নির্বাচিত সদস্যকে যেমন সভাপতি করার কথা বলা হয়, অন্য দিকে তাঁর কাছে যিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তাঁকেও কমিটির সদস্য হিসাবে রাখার কথা বলা হয়। নির্দেশিকায় জানানো হয়, কমিটির মোট সদস্যের মধ্যে ৫০ শতাংশ যেন মহিলা হন। তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।