টহল: শনিবার নকশালবাড়ি বাজারে। ছবি: স্বরূপ সরকার।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের কাজে যেতে অনেক ভোটকর্মী বেঁকে বসেছেন বলে খবর। দার্জিলিং জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মহকুমার চার ব্লকেই এমন কয়েকশো ভোটকর্মী ভোটের কাজে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের শোকজ বা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি।
আজ, রবিবার মহকুমা পরিষদের ভোট। শনিবার বুথে পাঠানো হয়েছে ভোটকর্মীদের। সূত্রের খবর, একাধিক ভোটকর্মী নানা অজুহাতে ভোটের কাজে যেতে চাইছেন না। ভোটে গন্ডগোলের আশঙ্কা করে একাংশ কর্মী ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি। দার্জিলিং জেলাশাসক এস পুন্নমবলম শনিবার বলেন, ‘‘কিছু কর্মী শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অনেককে বোঝানোর পরে আবার ভোটের কাজে রাজি হয়েছেন। সমস্যা থাকতেই পারে। অতিরিক্ত যে কর্মীদের সংরক্ষণে রাখা হয়েছিল। তাঁদের দিয়ে প্রত্যেক বুথে ভোট কর্মী পাঠানো হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে প্রশাসন তৈরি।’’
একাংশ ভোট কর্মীর অনুপস্থিতিকে হাতিয়ার করে গণ্ডগোলের আশঙ্কার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘কারচুপি হলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবেন না।’’ দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদক সমন পাঠাক বলেন, ‘‘নিরাপত্তার অব্যবস্থা স্পষ্ট। মানুষ জবাব দেবে।’’
দার্জিলিং জেলা সমতলের তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে বিরোধীরাই গন্ডগোল পাকিয়ে তৃণমূলের নাম দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’
ভোট শেষে ইভিএম বন্ধ হল কি না সংশয় থাকে বলে অভিযোগ। মহকুমা পরিষদ ভোটে তাই নতুন নিয়ম চালু হল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোট শেষে ইভিএম বন্ধ করা হয়েছে— এটা প্রিসাইডিং অফিসারকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। এর আগেও বুথের অফিসারকে ইভিএম বন্ধ করতে হত। কিন্তু ভোট শেষে কাজের ব্যস্ততায় কেউ ইভিএম বন্ধ না করলে তাতে কারচুপির ফাঁক থেকে যেত বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুরসভা ভোটের ফলাফলেবিজেপি, বামেদের ভরাডুবি হয়েছিল। ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল তারা।
মাটিগাড়া বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, ‘‘কারচুপির কোনও বিষয় নয়। নিয়ম মেনে ইভিএম বন্ধ বাধ্যতামূলক হল।’’