লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছতেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। পরপর দু’দিনের চেষ্টায় ভুটানে ঢোকার পারমিট পেয়েছেন কেউ। কেউ বা পারমিট না পেয়ে পরিকল্পনাই বাতিল করে দিয়েছেন।
ভারতীয় পর্যটকদের ‘পারমিট’ নিয়ে ভুটানে ঢুকতে হয়। জয়গাঁ লাগোয়া ভুটানের ফুন্টসিলিং থেকে পর্যটকদের পারমিট দেওয়া হয়। পারমিট সংগ্রহের ২০টি কাউন্টারের মধ্যে বৃহস্পতিবার খোলা ছিল মাত্র তিনটি। প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক ভুটানে কাজে যান। তাঁদেরও পারমিটের জন্য কাউন্টারে লাইন দিতে হয়। তাই লাইনে দাঁড়ানো নিয়েই হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। তার জেরেই নাকাল হতে হয়েছে পর্যটকদেরও। শুধু এ দিন নয়, জানা গিয়েছে মাস তিনেক ধরেই এই সমস্যা চলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ধাপে ধাপে দুর্ভোগ শুরু হয়ে এখন তা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার পারমিট না পেয়ে ফুন্টসিলিঙে বিক্ষোভ শুরু করেন পর্যটকেরা। পর্যটকদের জন্য পৃথক লাইনের দাবি তোলেন তাঁরা। যদিও, বিক্ষোভের পরেও সমস্যা সমাধানে কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে পর্যটকরা অভিযোগ জানিয়েছেন। দিনভর অপেক্ষার পরে সন্ধেয় হতাশ হয়ে ফিরেছেন পর্যটকদের অধিকাংশ। এ দিন ফুন্টসিলিঙের কাউন্টারে ছিলেন চন্দননগর থেকে আসা নির্মম দে। পারমিট পেতে গত বুধবার থেকে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করলেন। গত বুধবার সকালে লাইন দিয়ে কাউন্টারের সামনে পৌঁছতে পারেননি। এ দিন বৃহস্পতিবার লাইনে দাঁড়ালেও পারমিট পাতে পাননি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দেশ-বিদেশের ট্যুর অপারেটররাও। প্যাসেফিক এশিয়া ট্র্যাবেল অ্যাসোসিয়েশনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাউন্সিলের সদস্য সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘আগে থেকে পরিকল্পনা করেই পর্যটকেরা আসেন। হঠাৎ করে পারমিট কাউন্টারগুলি কেন বন্ধ করে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছি না। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন সুরেশ ঠাকুরির অভিযোগ, ‘‘আগে শনি এবং রবিবারও পারমিট মিলত। এখন তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের নাকাল করতেই এমন হচ্ছে কিনা তা দেখা দরকার।’’ ভুটানের কনসাল জেনারেল দফতরে সমাস্যার সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা সুনীল অগ্রবালও দ্রুত আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।