গঙ্গার ঘাটে নজরদারি নিজস্ব চিত্র
পড়শি রাজ্য থেকে গঙ্গা দিয়ে ভেসে আসতে পারে মৃতদেহ। সেই কারণে মালদহে ব্যস্ততা তুঙ্গে। মানিকচকে গঙ্গার ঘাটগুলিতে নজরদারি চলছে। উপস্থিত রয়েছেন ব্লক আধিকারিক থেকে পুলিশের কর্তারা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌকা। নৌকা করে চলছে নজরদারিও। উপস্থিত রয়েছেন অসামরিক দপ্তরের কর্মীরা। মৃতদেহ পাওয়া গেলে তা সৎকারের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু কোন মৃতদেহ গঙ্গা দিয়ে এখনও ভেসে যেতে দেখা যায়নি।
মানিকচক ঘাট এলাকায় গঙ্গা প্রায় এক কিলোমিটার চওড়া। তুলনামূলকভাবে গদাইচর এলাকায় গঙ্গা খানিকটা কম চওড়া। গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশ, বিহারে অনেক মৃতদেহ গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন মনে করছে, অন্য রাজ্য থেকে ভেসে কোনও মৃতদেহ মালদহের মানিকচকে চলে আসতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার সারাদিন নজরদারির পরও কোনও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, “জেলা প্রশাসনের কাছে সরকারি নির্দেশ পেয়ে আমরা এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছি। গঙ্গায় ইতিমধ্যে আমরা নজরদারি শুরু করেছি। কোনও মৃতদেহ দেখা গেলে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ীই আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে এখনও কোনও মৃতদেহ আমরা গঙ্গায় দেখতে পাইনি। মূলত মানিকচক ও ভূতনিতেই গঙ্গায় বেশি নজরদারি চালানো হচ্ছে।”
মানিকচকের বিডিও জয় আমেদ বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ফোনে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের কোনও মৃতদেহ পাওয়া গেলে সৎকার করানোর কথা বলা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা নজরদারি চলবে।’’
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আমার অত্যন্ত ভয় লাগছে। কারণ গঙ্গার জলকে পরিশ্রুত করে আমরা পান করি। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের গাফিলতির জন্য যে ভাবে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা মানবতার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। মানুষের জন্য বিপজ্জনক। জলের মধ্যে যে সব প্রাণী থাকে, তাদের জন্যও ক্ষতিকারক। তাই এটা ভয়ের বিষয়।’’
এর পর ফিরহাদ যোগ করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। কিন্তু জলজ প্রাণীদের আমরা আটকাতে পারব না। অপদার্থ যোগী সরকার চালাতে না পারলে পদত্যাগ করুন। এঁরা শুধু ধর্ম নিয়ে খেলা করছে। যদি মানুষই না বাঁচে, তবে কিসের ধর্ম? টিকা না দিতে পেরে অনেক মানুষের ক্ষতি করে দিয়েছে। পুরো দেশটাকে চিতা তৈরি করে দিয়েছে।’’